আবদুল মোতালেব
“”আমরা আসছি বাড়ী – সঙ্গে থাকবে গাড়ি,,এ স্লোগানকে বাস্তবে পরিণত করলো কার্নিভ্যাল ক্রুজ লাইন লিমিটেড নামের সর্বাধুনিক আধুনিক প্রযুক্তি লঞ্চটি। শুক্রবার কেরানীগঞ্জে হাসনাবাদ থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন ও যাত্রী নিয়ে শুক্রবারে দুপুর ২টা সময় এসে পৌঁছেছেন ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে।
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পরিশেষে ১৫-ই সেপ্টেম্বর দুপুর দুইটার দিকে ঢাকা হইতে ছেড়ে আসা কার্নিভাল ক্রুজ লাইন লিমিটেড নামে অত্যাধুনিক লঞ্চটি ভোলার ইলিশা ফেরি ঘাটে এসে পৌঁছেছে। ভোলার শত শত মানুষ বিপুল উৎসাহ উদ্যপনার মাধ্যমে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও একই সাথে গাড়ি পারাপারের মাধ্যম কার্নিভ্যাল ক্রুজ লাইন লিমিটেডকে গ্রহণ করেন। এবং দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইলিশা ফেরি ঘাটে শত শত মানুষ ওই লঞ্চটি দেখতে যান,
যাত্রী পারাপার ও ভারী যানবাহন সহ সারা বিশ্বে এ সার্ভিসটি চালু আছে, বাংলাদেশেও আজ থেকে এ সার্ভিসটি চালু হয়ে গেল। অত্যাধুনিক লঞ্চটিতে যাত্রী ক্যাপাসিটি রয়েছে ৩৩০ জনের, এর মধ্যে ৬০ টি কেবিন, ১০০টি সিট, ৩৫টি বড় গাড়ীসহ প্রতিদিন সকাল ৮ টায় ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ হইতে ঢাকা – ভোলা ইলিশা রুটে উদ্দেশ্যে চলাচল করবে। লঞ্চ গুলো যেমন বিশাল আকার তেমনি মনোরম পরিবেশ এবং ভি আই পি সিট এবং কেবিন, এই লঞ্চটির ভিতরে যাত্রীদের খাওয়ার জন্য ভালো পরিবেশের একটি ক্যান্টিন ও রয়েছে। জানা গেছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ হাসনাবাদ ফেরিঘাট হইতে ভোলা ইলিশা রোডে প্রতিদিন যাত্রীবাহীও পরিবহনসহ বিলাস বহুল দুইটি লঞ্চ চলাচল করবে, একটি হলো কার্নিভ্যাল ক্রুজ লাইন লিমিটেড, আরেকটি হলো কার্নিভ্যাল ওয়েব লাইন লিমিটেড। এ লঞ্চে প্রত্যেকটা গাড়ির পারাপারের জন্য মূল্য তালিকা ও যাত্রীদের ভাড়া দিতে হবে মোটরসাইকেল ১০০০,পাইভেটকার ৫০০০,মাইক্রো বাস, হাইস ৮৫০০, পিকআপ, লাক্সারি কার ৭৫০০,মিনিবাস ১০০০০,যাত্রীবাহী বড় বাস ১৫০০০ টাকা।যাত্রীদের ক্ষেত্রে ভি,আই,পি ৫০০০,সাধারণ কেবিন ৩০০০, চেয়ার কোর্স ৫০০,ডেক শ্রেণী ৪০০ টাকা। মোটরসাইকেলে একের অধিক লোক থাকলে নির্ধারিত হারে তাদের ভাড়া পরিশোধ করতে হবে, এবংঅন্য সকল পরিবহনের যাত্রী ও শ্রমিক কর্মচারীদের কোন ফ্রি দিতে হবে না। এবং বিকেল বেলা মেঘনা নদীতে পানির প্রবল জোয়ার থাকার কারণে ফেরিঘাট পানিতে ডুবে ছিল তার পরেও উৎসুক জনসাধারণ লঞ্চের ভিতরে দেখার জন্য প্রায় ১০/১৫ ফুট জায়গায় ২০ টাকার বিনিময় নৌকা দিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরিঘাট পার হয়ে লঞ্চটি এ আসে, আবার দেখা গেছে কেউ কেউ ডুবন্ত ফেরিঘাট দিয়া যাওয়ার পথে পানিতে পড়ে যায় তারপরও স্বপ্নের অত্যাধুনিক লঞ্চ টি দেখে আসে। আমাদের বাংলাদেশ পাবলিক টিভি প্রতিনিধি সরজমিনে আধুনিক মানসম্মত এই লঞ্চ টির প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে নজরে আসে ইলিশা ফেরিঘাট রাস্তাটির চিত্র। ভোলা শহরে প্রবেশ মুখ ইলিশা ফেরিঘাটে রাস্তার বেহাল দশা দেখে সাধারণ মানুষ অবাক হয়ে যাবে, এ রাস্তা এতই জরাজীর্ণ অবস্থা যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। রাস্তার দুই পাশ্বে অনেকগুলো দোকানপাট এবং মার্কেট নির্মাণ করা হলেও বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেও রাস্তায় পানি জেগে থাকে পানির জেগে থাকার কারণে রাস্তার প্রচুর ক্ষতি সাধন হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি,সড়ক ও জনপদ এবং জনসাধারণ একটু সূ-দৃষ্টি দিলে এ রাস্তায় ড্রেনের ব্যবস্থা ও সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নিলে ভোলা সদরের সাথে চলা-চলকারী মোটরসাইকেল, বোরাক, অটোরিকসা,সিএনজিসহ ভারী যানবাহন দুর্ঘটনার কবল থেকে মুক্তি পাবে। মানুষের জান মাল ও রক্ষা পাবে। সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে ইলিশা-ভোলা রোডের পরিবেশ।