রাসেল কবির//গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শীত মৌসুমে রসের পিঠা ও গুড় বিলুপ্তর পথে। দেখা গেছে বরিশালের কাজিরহাট এলাকায় এখন হাট বাজারে রসের হাড়ি ও খেজুরের গুড় তেমন পাওয়া যায় না। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলেও এখনো গাছিরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজে চোখে পড়ে না। অগ্রহায়ণ মাস শেষ পর্যায়ে পৌষের আগমনে ও খেজুর গাছের রসের সন্ধান মেলেনি। এক সময় রসের পিঠা দিয়ে নববধূর জামাই বাড়ির আত্মীয় স্বজনদের বিভিন্ন রকমারি পিঠা তৈরি করে সমাদর করা হতো। রস সংকটের কারণে বিভিন্ন রকমারি পিঠা বানানো উৎসব থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে। প্রায় দুই যুগ পূর্বে কাজির হাট বাজারে রসের প্রতি হাড়ি ১০/১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন রসের প্রতি হাড়ি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে লতা ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের গাছি রতন ফকিরের সাথে কথা হলে তিনি জানাই এখন খেজুর গাছের সংখ্যা কম। এছাড়া অনেকেই খেজুর গাছ পরিচর্যা করে রস সংগ্রহ করবে তাদের পারিশ্রমিক হয় না।খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে এজন্য খেজুরের গুড় বাজারে চোখে পড়ে না। খেজুরের গুড় অত্যন্ত সুস্বাদু। খেজুরের দিয়ে পিঠা পুলির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাপা পিটা অন্যতম। গ্রামগঞ্জে এখনো রস হাট বাজারে পাওয়া যাবে এক থেকে দেড় মাস পর। আসলী সন্তোষপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলে রাস্তার পাশে সারি সারি খেজুর গাছ এখন আর নেই। রসের পিঠা প্রসঙ্গে একাধিক গৃহিণীরা জানায় রসের পিঠা ছাড়া অধিকাংশ নিমন্ত্রণে ব্যাঘাত হত। শহরমুখী লোকজন রসের পিঠা বেশি পছন্দ করে।বর্তমানে রস ও খেজুরের গুড় গ্রামগঞ্জ থেকে বিলুপ্তর পথে।

