রাসেল কবির// বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানা লতা ইউনিয়নের চর সন্তোষপুর গ্রামে খালা বাড়ি বেড়াতে এসে ও শেষ রক্ষা হয়নি।অবশেষে জীবন মরণ সন্ধিক্ষণে আশ্রয় মিলেছে খালা বাড়ির শ্বশুরালয়ে। পটুয়াখালীর মেয়ে এলমা আক্তার মিথিলা অভিভাবকের তোপের মুখে পড়ে প্রায় ২ মাস পূর্বে বেড়াতে আসেন। এলমা আক্তার মিথিলা লিখিত ও বক্তব্যের মাঝে তার জীবন কাহিনী তুলে ধরেন। মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী পিতা ফারুক পেদা, মাতা নাজমা বেগম, খালা কেয়া আক্তার ডলি গ্রাম উত্তর চর বিশ্বাস, থানা গলাচিপা,জেলা পটুয়াখালী। ২০২৩ সালে জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ দেয় তিন লক্ষ টাকা কাবিন মূলে। তখন তার বয়স ১৫ বছর প্রবাসী সাগর মিয়ার সাথে পিতা, মনসুর হাসান ওরফে মঞ্জু গ্রাম ছোট চর কাজল এলাকায়।বিবাহর পর পিতা-মাতা ও খালা অত্যাচাররে বিভিন্ন ভয়-ভীতি মাধ্যমে ২ বছর সংসার করতে বাধ্য হয়। অবশেষে এলমা আক্তার মিথিল ২২/৭/২০২৫ নোটারি পাবলিক পটুয়াখালী স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদান করেন। এই খবর অভিভাবক জানতে পেয়ে অত্যাচারের মাত্রা সহ অকথ্য ভাষায় গালমন্দ বেড়ে যায় অবশেষে আমি নিরুপায় হয় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গলাচিপা এম পি নং ৪২২/২৫ ইং তারিখে ১০৭ ধারা ফৌ: কা: বি: করতে বাধ্য হই। অভিযুক্ত মো: সাগর, মঞ্জু,মোসা: চিনু বেগম, নাজমা বেগম,জাফর মোল্লা কে অভিযুক্ত করে। অতঃপর
এলমা আক্তার মিথিলা নিকাহ রেজিস্ট্রিকৃত অফিসের মাধ্যমে ২৮/৮/২৫ তারিখে স্বামীকে তালাকের নোটিশ পাঠান। এক পর্যায় খালা কেয়া আক্তার ডলির বাসায় চলে আসে এলমা আক্তার মিথিলা। কেয়া আক্তার ডলির স্বামী বেল্লাল হোসেন অপু গ্রীস প্রবাসে থাকে। কেয়া আক্তার ডলি এলমা আক্তার মিথিলাকে খালা বাসায় রেখে বরিশাল চলে যায় ডাক্তার দেখাতে। বিকেলে জানতে পায় খালা আবাসিক হোটেলে পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদারের সাথে আবাসিক হোটেলে আটক হয় বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। অপরদিকে আমার শেষ ঠিকানা হয় খালার শশুরালয় ঘরে। সেদিন রাতে পিতা মাতা এসে আমাকে হুমকি ধামকি গালমন্দ করে সাদা কাগজে লিখে দিয়ে যায় আমি তাদের সন্তান নহে পরদিন চলে যায়। কিছুদিন পর খালার শ্বশুরবাড়ি লোকজন আমাকে নিয়ে যায় আমার বড় চাচার বাসায় যশোর তখন রাত ১টা।এ খবর শুনে আমার বড় চাচার মোবাইল ফোনে পিতা আমাকে গালমন্দ করে আর বলে এই রাতে আমাকে সহ আমার সাথে লোকজন এসেছে তাদের ঘর থেকে বের করে দাও এ কথা বলে। আর আমি যদি আসি ওকে পতিতলায় দিয়ে দেব আমি লোক লজ্জার ভয়ে নিরুপায় হয়ে ওই রাতেই তাদের সাথে চলে আসি। আসার পর মোবাইল ফোনে আমাকে হুমকি গালমন্দ সহ বিভিন্ন ধরনের মামলায় ফাঁসাবে আমাকে আশ্রয় দিয়েছে কি কারনে। আমি লিখিত বক্তব্যে আরও জানাতে চাই যে আমার মা দূ-চরিত্রা নারী পরপুরুষ আনাগোনা ছিল আমাদের বসত ঘরে আমি নিজ চোখে দেখেছি। এ বিষয়গুলি ইতিপূর্বে আমার পিতার নিকট জানিয়েছে তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমার খালা এই ধরনের নারী। আমার অভিভাবক ফন্দি করতেছে আমাকে এবং আমার আশ্রয় দাতাদের কে মাধ্যমে আমাকে গোপনে তুলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিবে।
আমি আমার আত্মবিশ্বাসে জানিয়ে গেলাম আমার মান সম্মান আত্মরক্ষা করিয়াছে আশ্রয় দাতারা। আমার অভিভাবকের অত্যাচার আমি যদি পরপারে চলে যায় তাহলে আমার পিতা মাতা খালা দায়ী হবে আমার জন্য বলে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে পাঠ কিরলাম।

