নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কামারখন্দ উপজেলার ৩নং জামতৈল ইউনিয়নে দরিদ্রদের মাঝে মাথাপিছু ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণের পর খালি পাটের ছালা বিক্রয়কালে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল (৩ এপ্রিল) বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ উপজেলার ৩নং জামতৈল ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনাটি ঘটে।
এর আগের দিন সকাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা আনুষ্ঠানিকভাবে দরিদ্র পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করেন।
জানা যায়, দুইদিন ব্যাপী (২ ও ৩ এপ্রিল) দিনব্যাপী ঈদ উপলক্ষে সরকারের বরাদ্দ দেওয়া চাল বিতরণের পর খালি বস্তা বিক্রয়কালে ভ্যানযোগে নেয়ার সময় সাদ্দাম ও তার লোকজন ছিনিয়ে নেবার অভিযোগ তোলেন
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদে মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে দরিদ্র পরিবারকে চাল দিয়েছেন আমাদের মাধ্যমে। আর এসব চাল দেওয়া শেষে গাড়ীর অতিরিক্ত খরচ পোষাতে পাইকারী হান্নানের নিকট খালি বস্তাগুলো বিক্রি করে দেই । দুপুরে ভ্যান পাঠালে পরিষদ থেকে খালিবস্তাগুলো উঠানোর সময় সাদ্দাম ও তার লোকজন এসে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় প্রতিবাদ করতে গেলে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছালাম ও আমাকে নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে ইউএনও এবং থানায় অবগত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে এ ধরনের ঘটনা গুজব বলে উড়িয়ে দেন কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদপ্রার্থী সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। পরিষদের চাল চুরির অনিয়মের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।
পাইকারী হান্নান বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে থেকে বাজার মূ্ল্যের চেয়ে দুই টাকা কম ধরে খালি চটের ছালা ক্রয় করি। সে বাবদ অগ্রিম ১০ হাজার টাকা প্রদান করি। আজ নেয়ার জন্য ভ্যানচালক তালেবকে পাঠালে সাদ্দাম ছিনিয়ে নিয়ে যায় তবে কি কারনে ছালাগুলো নিয়ে গেল তা জানেন না বলে তিনি জানান।
ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষদর্শী ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সালাম বলেন, খালি বস্তাগুলো তুলে দেয়ার সময় সাদ্দাম ও তার ৫-৬জন লোক এসে ভ্যানসহ ছালাগুলো নিয়ে যেতে থাকে। এ সময বাধা দিলে নানান হুমকি- ধমকি দিয়ে চলে যায়।