আনারুল ইসলাম,কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
কবি নজরুলের গানের সুর বিকৃতির প্রতিবাদে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ র্যালী
ভারতীয় চলচ্চিত্রে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গানটির চিরচেনা সুর বিকৃতভাবে উপস্থাপন করায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ র্যালী ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে প্রতিবাদ র্যালী শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে অনতিবিলম্বে চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত গানটি বাদ দেওয়া ও গানটির ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমানকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুম হাওলাদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নজরুল গবেষক অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান।
সমাবেশে নজরুল গবেষক অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এ আর রহমানের আরোপিত সুর বাঙালিকে ধারণ করতে পারেনি। বাঙালির আবেগকে ধারণ করতে পারেনি। বরং একটি দুর্বল সুরের মধ্যদিয় বাঙালির মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এমনকি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গানটি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে গেছে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে গানটিকে আমরা গ্রহণ করতে দেখেছি। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সময়, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের সংগ্রামী সূর্যসন্তানরা এ গান গেয়েছেন। এ গান গেয়ে হেসে হেসে জীবন দান করেছেন। ফলে এ গান শুধু আর গান নেই। এ গানটি বাঙালির হৃৎস্পন্দনে পরিণত হয়েছে। এ গানটি আমাদের আবেগে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেক গানের একটি কপি রাইট থাকে। সে কপিরাইটে এটি কেউ বিৃকতভাবে গ্রহণ করতে পারেনা, নষ্ট করতে পারেনা, ধ্বংস করতে পারেনা। আসুন সম্মিলিত প্রতিবাদের মাধ্যমে এ আর রহমানের এ সুরটিকে আমরা বর্জন করি।
এসময় উপাচার্য বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ এবং বিতর্কিত অংশটুকু যাতে বর্জন করা হয় সেব্যপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করেন।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের অনুপ্রেরণা। মুক্তিযুদ্ধে তার লেখা গাণ গুলো সবাইকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলো। তার সেই গানকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসানসহ অন্যরা।