মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের শিবির নেতা আবুজার গিফারী ও শামীম হোসেন এর বিচারবহির্ভূত হত্যার ৯ বছর পর পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ আদালতে সাবেক পুলিশ সুপারসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে মামলা করেছে স্বজনরা।
মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন (চাকরিচ্যুত), সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ আনোয়ার হোসেন, সাবেক এসআই নিরব হোসেন, সাবেক এস আই আশরাফুল আলম, সাবেক এস আই ইমরান হোসেন, সাবেক এস আই গাফফার হোসেন, সাবেক এস আই নাসির হোসেন, সাবেক এস আই আজবাহার আলী শেখ কে মামলায় আসামী করা হয়েছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের নেতা আশরাফুল আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, আব্দুর রউফ, আলী হোসেন অপু, মুহিদুল ইসলাম মন্টু, শিবলী নোমানী, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ রাব্বি কে মামলায় আসামী করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামলা দুইটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কালীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
শিবির নেতা আবুজার গিফারীর হত্যায় মামলা করেন তার পিতা মোঃ নুর ইসলাম। তিনি আদালতে উল্লেখ করেন তার একমাত্র ছেলে ইসলামি ছাত্রশিবিরের পৌর শাখার সভাপতি ছিল। শিবির কে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আসামীরা হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০১৬ সালের ১৮ই মার্চ জুময়ার নামাজের পর বাড়ির সামনে থেকে সাদা পোশাকে জোর পুর্বক চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। গোপন স্থানে রেখে নির্যাতন করা হয়। দীর্ঘ ২৫ দিন আটক রাখা হয়।
এদিকে শিবির নেতা শামীম হোসেনকে হত্যার মামলা করেন তার পিতা মোঃ রুহুল আমীন।
তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন তার পুত্র শিবিরের থানা শাখার দ্বায়িত্ব শীল ছিল। একই কারণে ২৪শে মার্চ মাহতাবউদ্দিন কলেজের সামনে থেকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যায়। দীর্ঘ ১৯ দিন আটক রেখে নির্যাতন করে।
এরপর ১৩ই এপ্রিল যশোর সদরের হৈবতপুর ইউনিয়নের লাউখালি বিরাম পুকুর শ্বশান ঘাট দক্ষিণ পাড়ে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়। প্রায় ৯ বছর পর বিচারবহির্ভূত হত্যার মামলা করে ন্যায় বিচার আশা করছেন স্বজনরা।