বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
আবারো উৎপাত বেড়েছে কিশোর মাস্তানদের প্রতিনিয়ত জীবননাশের ঘটনা ঘটছে শহরের কোথাও না কোথাও সাথে ইভটিজিং চাঁদাবাজি ভূমি দখল রংবাজি আধিপত্য বিস্তার দেশি-বিদেশি অস্ত্র প্রদর্শন মাদক সেবন ও বিক্রি মটরসাইকেলের বিকট শব্দ অকথ্য ভাষা গালিগালাজ সহ বিভিন্ন অপকর্ম প্রতিনিয়ত ঘটছে শহর জুড়ে। আর তারি ধারাবাহিকতায় খুলনায় কিশোর মাস্তানদের গুলিতে রাসেল ওরফে পঙ্গু রাসেল নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দু’জন আহত হয়েছে। স্থানীয়দের সূত্র তথ্য জানা শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন কাশেম সড়ক কুবা মসজিদের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত যুবক হলেন রাসেল ওরফে পঙ্গু রাসেল। তিনি শেরে এ বাংলা রোড আমতলা মোড়ের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের ছেলে।
আহত দু’ যুবক হলেন খুলনা থানাধীন সদর হাসপাতাল এলাকার জনৈক হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো: সজিব ও সোনাডাঙ্গা থানাধীন আমতলা এলাকার জনৈক মো: হান্নান শেখের ছেলে মো: ইয়াছিন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শফিকুল আলম।
বলেন, রাত আড়াইটার দিকে ৪ মোটরসাইকেল নিয়ে নিহত যুবকসহ আরও কয়েকজন সোনাডাঙ্গা থানাধীন ৪ নং কাশেম সড়ক কুবা মসজিদের কাছে পৌঁছায়। এ সময়ে তাদের নিজেদের মধ্যে কলহবিবাদ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সহপাটি তাক করে বুকে পরপর ২ রাউন্ড গুলি করলে সাথে থাকা ইয়াছিন ও সজিবকে চা পাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে এ হত্যাকান্ড নিজেদের মধ্যে এবং মাদক করাবারি নিয়ে ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন। রাসেলের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গাসহ বিভিন্ন থানায় মোট ১১ টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক মামলা উল্লেখযোগ্য। নিহতের লাশ মর্গে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।
তবে দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার তাৎপর চালাচ্ছে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।