বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নগরীর দোলখোলা শ্রীশ্রী শীতলা মাতা ঠাকুরানীর নাট মন্দির প্রাঙ্গনে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে কে এমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম (বার) বিপিএম সেবার সভাপতিত্বে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন খুলনা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু।
এ সময় শীতলা বাড়ি কার্যকরী কমিটির সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ কর্মকার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এবং শীতলা বাড়ী দুর্গাপূজা উপ কমিটির সভাপতি অজয় সাহা কে এমপি কমিশনারের নিকট থেকে কমিটির পক্ষে দুর্গা পূজার উপলক্ষ্যে উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেন।
এবং উপহার গ্রহণকালে তিনি বলেন খুলনায় সর্বপ্রথম হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় দুর্গা পূজা শারদীয় উৎসব উপলক্ষে আত্ম মানবতার মানুষ ভেদাভেদ পক্ষপাতিত্যহীন ভ্রাতিত্ব মনা ব্যক্তিত্ব কেএমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম (বার) ও পিপিএম সেবা এর পক্ষ থেকে নগরীর প্রতিটা পূজা মন্ডপে গিয়ে আত্ম মানবতার পরিচয় দিয়ে এবার তানার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও প্রশাসনের উজার করা ভালবাসায় সিক্ত করেছেন সার্বজনীন দুর্গাপূজার সকল কমিটি তথা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ।
এ সময় সভাপতির বক্তৃতায়
কে এমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন এদেশের মাটিতে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু শব্দে আমি বিশ্বাসী না।
আমি জানি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নে লালিত এই ভূখণ্ডে সবারই সম অধিকার সবাই সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যার যার ধর্ম পালন করবে তাতে কোন বাধা থাকবে না এবং থাকতে পারে না।
তিনি আরো বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সকল ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একে অপরের সাথে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আনন্দ উপভোগ ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আর এটাই ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের প্রতিফলন।
তাছাড়া তিনি আরো বলেন সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এক শ্রেণীর অসাম্প্রদায়িক মানুষেরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করার জন্য নেপথ্যয় থেকে ইন্দন জুগিয়ে যাচ্ছে।
তবে সকল অপশক্তি ও নাশকতাকে প্রশাসন বাহিনী কঠোর হাতে দমন করবে। পুলিশ আন্তরিকতার সাথে সকল ধরনের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠান ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সাথে সম্প্রীতির বন্ধন রেখে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া এই মহতী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারি সেই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সার্বিক সহযোগিতায় আমরা পুলিশ বাহিনী সর্বদা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত আছি এবং থাকবো।
পরে মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের অসহায় দুঃস্থ্য মানুষদের মাঝে পুলিশ কমিশনার নিজের হাতে বস্ত্র বিতরণ করেন।

