জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়নের সাফদারপুর গ্রামে বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারার মামলা করার পর শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে আদালত নির্দেশ প্রদান করলেও মানছেন না রাজিবুর রহমান খান।ভুক্তভোগীর অভিযোগ আদালতের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন জবর দখলের চেষ্টা।
সরেজমিন খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায় ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ খান শামসুন্নাহার এর ঔরসে জন্ম গ্রহণ করেন।মায়ের ওয়ারেশ সুত্রে ২৩ নং সাফদারপুর মৌজার ৩১ নং এস,এ খতিয়ানের ৭৪ নং এস এ দাগ, বর্তমানে যার হাল আর এস খতিয়ান নং ৭৪ আর,এস,৯১ নং দাগে ৬১ শতাংশ জমির মালিক হন। এই জমির উপর বসত ঘরবাড়ি গাছপালা সহ বসবাসের আনুষঙ্গিক স্হাপনা থাকা সত্ত্বেও রাজিবুর রহমান ঐ বসতবাড়ির ৬১ শতাংশ জমির মধ্যে ১৫ শতাংশ জমির উপর জোর পূর্বক নতুন করে স্হাপনা নির্মাণ শুরু করে।
আব্দুল লতিফ খান জানান আমার দীর্ঘদিনের বসত ঘরবাড়িতে অনধিপ্রবেশ করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয় জানতে চাইলে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ সহ মারমুখী আচরণ করে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমার বসতবাড়িতে যাতে অনধিপ্রবেশ করতে না পারে এবং অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরী করতে না পারে। সেই কারণে ঝিনাইদহ জেলা বিজ্ঞ আদালতে ন্যায় বিচার চেয়ে রাজিবুর রহমান পিতা মৃত আব্দুর রসিদ খান ও আব্দুল হামিদ খান পিতা মৃত জিতু খান গ্রাম সাফদারপুর উপজেলা কোটচাঁদপুর জেলা ঝিনাইদহ এর বিরুদ্ধে, কোটচাঁদপুর কোট পিটিশন নং ২৩১/২০২৪ ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ আদেশ নং -১ তারিখ ১৯/৩/২০২৪ ধারায় মামলা দায়ের করি।বিজ্ঞ আদালত ৭৩৪নং স্মারকের মাধ্যমে আগামী ৩০/৪/২৪ ইং তারিখের মধ্যে কোটচাঁদপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে উক্ত বিষয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা সহ শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশংকা আছে কি না সেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ প্রদান করেন।মামলা চলমান অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও আদালতের অবমাননা করে পূনরায় কাজ শুরু করেন। ১৪৪ ধারা জারিকৃত জমির উপর স্হাপনা নির্মাণ করার কোন নিয়ম আছে কি না
মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আল মামুন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান কখনও পারবে না। কাজ বন্ধ করে দিয়েছি এবং নোটিশ দিয়েছি। আদালতের অবমাননা করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে রাজিবুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে বলেন কাজ বন্ধ করেছি।