আবদুর রহিম– নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আলতাফ হোসেন আজাদকে গণপিটুনি দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা ১১টায় উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আলতাফ হোসেনের মা, সাবেক ইউপি সদস্য উম্মে কুলসুম সেতারা, স্ত্রী বিবি কুলসুম আক্তার লিপি ও বোন জোবাইদা খানম রেহানা।
সংবাদ সম্মেলনে উম্মে কুলসুম সেতারা বলেন, পার্শ্ববর্তী চৌধুরী আলম পরিবারের সঙ্গে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ আদালতে চলমান থাকা সত্ত্বেও গত ৩০ জুন সকালে পাশের ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল হাই ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল নিয়ে আমাদের জমি দখল করতে আসে। এ সময় আমার ছেলে ফেসবুক লাইভে প্রতিবাদ করে এবং আদালতের মামলার বিষয়টি উল্লেখ করে বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে হামলার খবর পেয়ে তার স্ত্রী ও বোন ছুটে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এ সময় আব্দুল হাই মেম্বারের ভাই জাহাঙ্গীরের লাঠির আঘাতে আব্দুল হাই নিজেই আহত হন। কিন্তু উল্টো আমার ছেলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীসহ নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না।
উম্মে কুলসুম সেতারা বলেন, “আমার ছেলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও কখনো কাউকে আঘাত বা ক্ষতি করেনি। ৫ আগস্টের ঘটনার পর অধিকাংশ মেম্বার পালিয়ে গেলেও আমার ছেলে এলাকায় ছিল, কারণ তার কোনো অপরাধ নেই।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গুরুতর আহত ছেলেকে চিকিৎসা না দিয়ে থানায় ২৪ ঘণ্টা আটক রেখে পরে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া বাড়িতে ককটেল ছোড়া ও নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এসব বিষয়ে সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজি মো. ফয়জুল আজিম বলেন, “মাহবুবুর রহমান নামের একজন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আলতাফ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”