বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
দেশের অন্যতম দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভাগ খুলনা জেলার আশপাশ দিয়ে বয়ে চলা অসংখ্য নদ নদীর এলাকার জনজীবন প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলোচ্ছ্বাস নদী ভাঙ্গন ভেড়ি বাঁধ ভাঙ্গাসহ ঝড়ঝঞ্ঝার সাথে যুদ্ধ করে জীবন নিয়ে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার দাকোপ, কয়রা, চালনা, সুতারখালী, মোংলা ও বেশ কিছু আশপাশের ভুক্তভোগী মানুষদের সারা বছরই আবহাওয়ার প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করে জীবন কাটাতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবছর আবহাওয়ার আগাম পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, উপকূলে টানা বর্ষণ ও নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার প্রায় ২০০ কিলোমিটার এলাকার মধ্য উল্লেখযোগ্য ভাবে পঞ্চাশ কিলোমিটার এলাকা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ রূপ নিয়েছে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে ওই সকল এলাকার বেশ কিছু ভেরীবাধ ফলে এলাকা প্লাবিত হয়ে ফসলাদি সহ উপকূলীয় এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাড়িঘর পাশাপাশি গৃহপালিত গবাদি পশু নিয়ে অতি দুশ্চিন্তায় গৃহস্থরা এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাধ মেরামতের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রশাসন সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষেরা নিজ উদ্যোগে তদারকি করার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও এখানে সরকারের রয়েছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যেমন অধিক জনবল অর্থবিনিয়োগ ও বুদ্ধিমত্তার সাথে সকল প্রতিকূলতা প্রতিহত করতে এলাকার এলজিইডি কর্মকর্তা পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ চেয়ারম্যান মেম্বার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তাগণ সজাগ দৃষ্টি রেখে উল্লেখিত ঝুঁকিপূর্ণ ভেরি বাঁধগুলো মেরামত করার লক্ষ্যে সকল ধরনের প্রচেষ্ট অব্যাহত রাখতে হবে। তা না হলে আসছে বর্ষা ও কালবৈশাখীর মৌসুমের আগেই বড় ধরনের ধাক্কা সামলাতে হবে এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষদের ফলে অসংখ্য বাড়িঘর পানিতে প্লাবিত হয়ে তলিয়ে যাবে গৃহহীন হয়ে পড়বে হাজার হাজার পরিবার আশ্রয় নিতে হবে আশ্রয় কেন্দ্রে পাশাপাশি জীবননাশ ঘটবে গৃহপালিত গবাদি পশু গরু, ছাগল, মহিষ, হাঁস, মুরগি। খাদ্য সংকটে পড়বে সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে সরজমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানায় ঝুঁকিপূর্ণ বাধ সময় মত মেরামতের উদ্যোগে নিলে কম খরচও কম সময়ের মধ্যে মানসম্মত কাজ সম্ভব। তবে বর্ষার আগ মুহূর্তে যখন নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে বাঁধ কানায় কানায় পূর্ণ হয় ঠিক সেই মুহূর্তে পাউবো কর্তৃপক্ষ এসে লোক দেখানো মেরামতের উদ্যোগ নেয়। এতে যেমন একদিকে খরচ বাড়ে অন্যদিকে তড়িঘড়িতে কাজ হয় নিম্নমানের। পাশাপাশি আরো খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ডিপিএম গেল অর্থ বছরের কাজ এখনও শেষ করতে পারেনি । তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেছেন এ অসময়ে এসে কার্যাদেশ পাওয়ায় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় মাটি পাওয়া যায় না এজন্য বাধ মেরামতে দেরি হয়। কয়রা এলাকার কয়েকটি গ্রামের তো ভোগী মানুষেরা অভিযোগ করে বলেন নদীর পানির চাপে কাশিয়াবাদ স্লুইচগেটের দুই পাশের বাধ ফাটল ধরেছে তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মেরামত করতেছে না। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে বলেন গাঙ্গের পানি যখন চরের নিচে থাকে তখন কারো দেখা পাওয়া যায় না যে সময় গাঙ্গের পানি বাঁধের কানায় কানায় আসে তখনই শুরু হয় মিয়া সাহেবদের আনাগোনা। এবং এ পর্যন্ত যতবার বাঁধ ভেঙ্গেছে সব সময় ওই সাহেবদের গাফিলতিতেই ভাঙিছে। পাশাপাশি একই উপজেলার আরো একজন বাসিন্দা তিনিও কপোতক্ষনদের তীর দেখিয়ে বলেনপ্রায় বছরখানেক ধরে বাঁধটি গাঙ্গের পাশের দিক দিয়ে ভাঙতে ভাঙতে শরু হয়ে গেছে তবে বর্তমানে জোয়ারের পানির যে চাপ বাড়তেছে তাতে যে কোন সময় অঘটন ঘটতে পারে। যদি একবার এই বাঁধ ভেঙে যায় তাহলে উপজেলা পরিষদসহ ২০ থেকে ৩০ গ্রাম গাঙ্গের পানিতে তলায় যাবে। তা সত্ত্বেও এলাকার বড় বড় মোড়লদের সেদিকে কারো কোন খেয়াল নাই। অথচ বাঁধ ভাংলি আমাদের মতন গরিব মানুষেরাই যত মরণ দশার মধ্যে ভুক্তি হবে তখন মোড়লরা এসে আমাগে সাহায্য করে না এক বেলা এক মুঠো খাবারের বন্দোবস্ত করেনা মাথা গুজা ঠাই দেয় না।
এ সময় বোর্ড (পাউবো) খুলনা ডিভিশন- ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান জানান তাদের আওতাধীন ৩৬৫ দশমিক ২৪ কিলোমিটার ভেরি বাঁধের মধ্য ১০ দশমিক ৫ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) খুলনা ডিভিশন- ২ এর অধীনে কয়রা দাকো পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় বেরিবাদ রয়েছে ৬৩০ কিলোমিটার এর মধ্য ঝুঁকিপূর্ণ ১২ কিলোমিটার এই ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন ঝুঁকিপূর্ণ বেরিবাদ সংস্কার করা হচ্ছে।
অপরদিকে পাউবে সাতক্ষীরা ডিভিশন- ১ এর অধীনে ৩৬০ কিলোমিটার ভেরি বাঁধের মধ্য পাঁচ কিলোমিটার জরাজীর্ণ বলে জানান নির্ভয় প্রকৌশলী মোঃ সালাউদ্দিন। সাতক্ষীরা ডিভিশন- ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশিকুর রহমান জানান তাদের আওতাধীন এলাকায় ২৯৩ কিলোমিটার ভেরিবাদের মধ্য 8 কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ এবাদ মেরামত করা হবে পাউবো বাগেরহাট নির্বাহী প্রকৌশলী সহ অন্যন্য নির্বাহী প্রকৌশলী গন একই ভাষ্য ব্যাক্তকরে বলেন আমাদের এলাকা জুড়ে বেশ স্হান ঝুঁকি পূর্ণ থালেও তা আমরা মেরামতের কাজে হাতদিয়েছি এবং অধিক জনবল নিয়োগ করেছি তাতে করে আশাকরা যায় বরো কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।