বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
খুলনা সিটি কর্পোরেশন থেকে মুসলিম ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহার লক্ষ্যে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ১৪১টি স্থান নির্ধারণ করে এবং ৮ ঘন্টার মধ্যে জবাইকৃত পশুর সমস্ত বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশনা দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।
নির্দেশনায় আরো জানানো হয়েছে আগামী ১৭ জুন সোমবার কোরবানি ঈদের দিন সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য অপসারণকারি পয়নিষ্কাশন কর্মকর্তাদের সকল ছুটি বাতিল করে ঈদুল আযহার দিন দুপুর ২ টা থেকে কাজ শুরু হবে রাত ১০ টার মধ্যে নগরের সড়ক ও সব এলাকা থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হবে এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখার কথাও তিনি জানিয়েছেন বর্জ্য অপসারণে নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডের মধ্য মোট ৮৫০ জন শ্রমিক কর্মচারী কাজ করবেন। এ কাজের জন্য কেসিসির বিভিন্ন আকারে ৭৬ টি ট্রাক গার্বেজ লোডার পে -লোডার ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুুত রাখা হয়েছে সে লক্ষ্যে বাড়ির সামনে কিংবা রাস্তার ওপর সহ যেখানে সেখানে পশু কোরবানি বন্ধে এবার উদ্যোগ নিয়েছে কেসিসি। নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডের ১৪১পশু কোরবানি পয়েন্ট নির্ধারণ করে দিয়েছে সংস্থাটি তবে এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর যোগ্য হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেসিসির ভেটিনারী সার্জন ডাক্তার পেরু গোপাল বিশ্বাস জানান গত বছর বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি কিছুটা কম হয়েছিল তবে এবার আগেভাগে থেকেই এ ধরনের কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় তার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
সাথে নগরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে নগর পিতা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন কোরবানি ঈদ হচ্ছে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে পরম করুনাময়কে খুশি করার লক্ষ্যে প্রিয় বস্তুুটি কোরবানি দেওয়াই হচ্ছে প্রকৃত তাৎপর্য আর সেই লক্ষ্যে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্ট করার জন্য ধর্মীয় রীতি প্রথা মেনে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করে জবাইকৃত পশুর প্রয়োজনের অবশিষ্ট অংশগুলি নির্ধারিত স্থানে রাখতে হবে যাতে করে সিটি কর্পোরেশনের পয়নিষ্কাশন কর্মীরা সহজেই সেগুলো সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া পশুর রক্ত মাটি খুরে মাটির নিচে চাপা দেওয়ার নির্দেশনা ও তিনি দিয়েছেন পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন নিজের ধর্ম পালন করতে গিয়ে অন্যের কোন সমস্যা হোক এমন কিছু সৃষ্টি করা যাবেনা তাছাড়া জবাইকৃত পশুর অবশিষ্ট অংশ এদিক-সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখলে তা থেকে জীবাণু ও দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতি সাধিত হয়। আর এতে করে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণুর উৎপত্তি হয় ফলে আমাদের সকলেরই সচেতন ভাবে এই নির্দেশনা গুলো মেনে চলা একান্তই দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে আমি মনে করি।
তবে এবার পরিবেশ ও নগরের বাসিন্দাদের সুরক্ষার্থে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আগে ভাগেই তারা প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তিনি আরো জানান তাদের ধারণা নগরীতে এ বছর পশু কোরবানি হবে প্রায় দশ হাজার কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান প্রতিবছর কোরবানির পর কিছু মানুষ রাস্তার ওপর কিংবা ড্রেনের গবাদি পশুর উচ্ছিস্ট ফেলে এতে দুর্গন্ধ ছড়া এবং ড্রেনের পানি চলাচল বিঘ্নিত হয়। আর এক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বেগ পেতে হয় তিনি বলেন ঈদের দিন দুপুর ২ টা থেকে শুরু করে রাত দশটার মধ্যেই কোরবানির পশুর উচিত অংশ অপসারণ করে রাজবাঁধের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হবে ঈদের পরদিন এবং তৃতীয় দিন ও শ্রমিকরা মাঠে কাজ করবে।