বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনা পিকচার প্যালেস সিনেমা হল ভেঙ্গে ফেলা জায়গায় অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা ঈদ বাজারে ১৯ মার্চ ভোর পাঁচটা দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সাতটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সহযোগিতায় দুই ঘন্টার ইউনিটগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। অস্থায়ী ঈদ বাজার ব্যবসায়ী সহ এ এলাকাবাসীর অভিযোগ কোন অসাধু মহল পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানিয়েছেন শহরের খুব পরিচিত পিকচার প্যালেস হল টি সিনেমা ব্যবসা মন্দা হওয়ার কারণে গত দুই বছর আগে ভেঙে ফেলে ওই স্থানে ৪০ থেকে ৪৫ টি টং দোকান তৈরি করে অস্থায়ী ঈদ মার্কেট হিসেবে প্রায় এক বছর যাবত চলমান রয়েছে অস্থায়ী মার্কেটটি আজ বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা আরো জানিয়েছেন ভোর সাড়ে ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হলে সাথে সাথে দোকানের ভিতরে রাত্রি যাপন করা দোকানিরা ছুটে বেরিয়ে এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছিয়ে যৌথ প্রচেষ্টা সকাল সাড়ে ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে আগুনে অস্থায়ী ওই মার্কেটের সব দোকান একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে যায়
অগ্নিকাণ্ড ঘটার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, ভেঙে ফেলা পিকচার প্যালেস হলের জমিতে ‘পিকচার প্যালেস সুপার মার্কেট’ নাম দিয়ে একবছর ধরে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছিলেন তারা। সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে স্থাপিত মার্কেটে সব ধরনের ঝুঁকি ছিল। ভোর রাতে আগুনের সূত্রপাত ঘটলে ব্যবসায়ী দ্রুত বের হয়ে আসেন। দেখতে দেখতে আগুন প্রতিটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে বেশিরভাগ মালামাল পুড়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন জানান, ভেঙে ফেলা পিকচার প্যালেস সিনেমা হলের স্থানে কিছুদিন আগে ছোট ছোট সাইজের ৪৪ টি অস্থায়ী দোকান গড়ে ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে কাপড়, কসমেটিক ও ক্রোকারিজের দোকান। এই দোকানগুলোতে ভোর সোয়া ৫ টার দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, খবর পেয়ে তাদের ৯টি ইউনিট ভোর সাড়ে ৫টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় ৬টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুনের উৎপত্তির কারণ জানা না গেলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কেটের ব্যবসায়ী বৃন্দ। অপর দিকে খুলনা সদর থানার ওসি সানোয়ার হোসেন মাসুম নাগরিক ভাবনাকে জানান, ভোরে আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আগুনে বেশ কিছু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্র কোথা থেকে হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।