বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
ব্যবসায়িক পার্টনার এবং বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন কর্তৃক ৫ কোটি টাকার কন্ট্রাক্ট কিলিং মাস্টারমাইন্ডের সাথে জড়িত একাধিক আসামীর নাম উঠে আসলেও তার মধ্য অন্যতম খোলস ও প্রকৃত নাম বদলানো বহুখুনের দায়ে বারবার সাজাপ্রাপ্ত কারা ভোগ করা খুলনা ফুলতলার অতি ভদ্রবেশি সুন্দর চেহারার চরমপন্থী নেতা শিমুল ওরফে আমানুল্লাহর লালসার শিকার হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব কলকাতার বিলাসবহুল একটি ফ্লাটে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ জেলার সংসদীয় ৪ নং আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে। এই হত্যাকাণ্ডের দায়ে খুলনার দিঘলিয়া ব্রাকপুর গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল হাওলাদার এর ছেলে জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই এবং ফুলতলার রেন্ট ক্লিং কিলার শিমুলের সাথে মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহিন দীর্ঘ দুই মাসের পরিকল্পনার ছকে পাঁচ কোটি টাকার কন্টাক্টে গত ২২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর কলকাতায় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে ব্যবসার প্রলবণ দেখিয়ে পরিকল্পিতভাবে সেখানে ডেকে নিয়ে শিমুলসহ আরো তিন চার জন মিলে ত্রিখণ্ডিত করে হত্যা করে পরে তার মৃতদেহ তিনটি ট্রলি ব্যাগে করে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণমাটিয়া এলাকার পরিত্যক্ত একটি ডুবায় ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ফেলে রাখার কথা স্বীকার করলেও সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ও লাশের কোন অংশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি তা সত্ত্বেও এমপি আনারের মৃত্যু দেহের খন্ডিত অংশ উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশ। অপরদিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে আমানসহ আরো তিনজনকে গ্রেফতার করে বারো দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
এই হত্যাকাণ্ডের অন্তরালের ইতিহাস থেকে উঠে আসে বিশ্বাসঘাতকতার নির্মম ইতিহাস যার দৃষ্টান্ত নবাব সিরাজউদ্দৌলা আর সেই আমল থেকেই অতি বিশ্বস্ত বন্ধুর সুন্দর চেহারার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা বীভৎস বিশ্বাসঘাতক বেইমান মীরজাফরদের মতন মানুষদের ষড়যন্ত্রর লালসার শিকার হয়ে এক সময় দেশের অসংখ্য সমাজের বিত্তবান ও উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বদানকারী নেতাদের জীবন অবসান ঘটেছে। আর তার মধ্য সর্বহারা নিষিদ্ধ চরমপন্থী নেতাদের উল্লেখযোগ্য টার্গেটে বড় ব্যবসায়ী সমাজসেবক ও বিত্তবান পয়সাওয়ালা মানুষ। চরমপন্থী নিষিদ্ধ সর্বহারা দলের নেতারা রাতের আঁধারে পত্র লিখে জীবননাশের হুমকি স্বরূপ সাদা কাফনের কাপড় নিজেদের বাহক কর্তৃক তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে হাতিয়ে নিত মোটা অংকের অর্থ সম্পদ আর ঠিক সেই মুহূর্তে অসংখ্য বিত্তবান হিন্দু পরিবার স্বয় সম্পত্তি রেখে জীবন বাঁচানোর তাগিদে দেশ ছেড়ে রাতারাতি ভারতের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় । আর সেই আমল থেকে অব্যাহত রয়েছে বাংলার আনাচে-কানাচে তথা দক্ষিণ জনপদ জুড়ে ৭০ দশক এর পর থেকে ৯০ দশক এর একেবারে শেষ নাগাদ পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াতো সর্বহারা নামক চরমপন্থী দল এলএম জনযুদ্ধের সদস্যরা আর এসব এলাকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে ছিলো চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মহেশখালী, খুলনার ফুলতলা, বটিয়াঘাটা, এদিকে রূপসা, তেরখাদা, আর এসব এলাকা গুলোর অন্যতম লিডার হিসেবে নেতৃত্ব দান করতো দক্ষিণ বাংলার অন্যতম আতঙ্কিত সর্বহারা মৃণাল, গণেশ, রশিদ,গামা, চুয়াডাঙ্গার লালটু সহ খুলনার উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু বীভৎস মানুষদের নেতৃত্বে চলতো রাতের অন্ধকারে অস্ত্রশস্ত্রসহ সজ্ঞপাঙ্গ নিয়ে নগদ অর্থসহ স্বর্ণালংকার এমনকি নামিদামি গৃহস্থদের হালের গরু গাভি মহিষের পালধরে তুলে নিয়ে যেত আর এগুলো দিতে কেউ অপারগতা স্বীকার করলে পরিবারের প্রধান কর্তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আশেপাশে কোথাও খাল বা বিলের মাঝখানে অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে মৃতদেহর ওপর চিরকুট লিখে সগৌরবে দাম্ভিকতার সাথে দাপট চালিয়ে অত্যাচার করে নির্যাতন করা ছিল তাদের নিত্যদিনের রুটিন অথচ দক্ষিণ বাংলার জনপদ থেকে দুই যুগের মতন সময় ধরে নিষিদ্ধ চরমপন্থীরা প্রশাসনের কঠোর তৎপরতা ও প্রত্যেক এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের সঙ্ঘবদ্ধতার কাছে পরাজিত হয়ে পিছু হাঁটলেও তাদের খোলসা বদলিয়ে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অব্যাহত রেখে মানুষ খুনের মতন জঘন্য কাজে সাধারণ মানুষের সাথে সভ্য বেশ ধারণ করে দেশ-বিদেশে থাকা প্রতিহিংসার রাজনীতির নেতৃত্বদানকারী নেতাদের সাথে মাস্টারমাইন্ড প্লান এর মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কন্টাক্ট কিলিং জঘন্য অপরাধ চালিয়ে হত্যা করছে অসংখ্য এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের মতন নেতাদের। আর তেমনই একজন দক্ষিণাঞ্চলের ফুলতলা এলাকার ভদ্ররুপি খোলস বদলানো কিলিং মাইন্ডের চরমপন্থী নেতা শিমুল যার লালসার শিকার হয়ে খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ সংসদীয় এলাকা ৪- আসনের সরকারের দলীয় নির্বাচিত এমপি আনারকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা হতে হয়েছে।