জিয়া চৌধুরী (খুলনা প্রতিনিধি)
খুলনা সহ সারা দেশে আজ আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। খুলনা রেলস্টেশন থেকে আজ রাতে সুন্দরবন ও সিমান্ত আন্তঃনগর এক্সপ্রেস নামের দুইটি ট্রেন ছেড়ে যাবে। প্রথম আন্তঃনগর ট্রেনটি ছেড়ে যাবে রাত ৯ টায় এবং দ্বীতয় ট্রেনটি ছেড়ে যাবে স্টেশনের নির্ধারণ সময়ে। আজ সকালে স্টেশন থেকে যাত্রীবাহি মেইল ও কমিউটার ট্রেন ছেড়ে গেছে।
আগামি কাল ১৬ আগস্ট থেকে সকল ট্রেন নির্ধারিত রুটে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাবে। গত ১২ আগস্ট থেকে মালবাহি ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে এবং ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় মেইল,এক্সপ্রেস,লোকাল ও কমিউটার ট্রেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে ১৯ জুলাই থেকে দীর্ঘ ২৮ দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো। খুলনায় ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্য স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। যাত্রীরা সারিবদ্ধ ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করছে। তবে স্টেশনে যাত্রীদের উপস্থিত ছিল কম। স্টেশনের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিলো।
খুলনার রেলস্টেশন মাষ্টার মাসুদ রানা জানান দেশব্যাপী কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দফায় দফায় রেলস্টেশন সহ ট্রেনের কোচে অগ্নিসংযোগ, কোচের দরজা ও জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা জনিত কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে । আজ বৃহস্পতিবার থেকে খুলনা সহ সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেনচলাচল শুরু হয়েছে।
খুলনা থেকে সকালে যাত্রীবাহি মেইল ও কমিউটার ট্রেন ছেড়ে গেছে। রাতে সুন্দরবন ও সিমান্ত আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাবে। স্টেশনের আইন শৃংখলা ও সকল কাজ কর্ম স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছে তিনি।
টিকিট কাটতে আসা হাওয়া বেগম নামের এক গৃহবধু জানান আমার বাড়ি খুলনার দৌলতপুরে। আমার স্বামীর চাকুরীর সুবাদে আমি ঢাকাতে থাকি। আমি সব সময় ট্রেনে চলাচল করি। ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে আমি বাচ্চাদের নিয়ে ১৪ জুলাই খুলনায় চলে আসি। ট্রেন বন্ধ থাকায় আমি ঢাকা যেতে পারিনি। শুনেছি আজ থেকে ট্রেন চলবে তাই টিকিট কাটার জন্য এসেছি। ট্রেনের যাতাযাত খুবই আরামদয়ক তাছাড়া খরচ ও কম। সেজন্য আমি ট্রেনে যাতায়াত করি। টিকিট কাটতে পারে আমি খুবই আনন্দিত।