বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
সমগ্র দেশ যখন শারদীয় উৎসব আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিটি মন্দিরের আয়োজক কর্তারা ঠিক সেই মুহূর্তে খুলনা নগরীর সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গা উৎসবের অন্যতম ঐতিহ্য সাহেবের কবরখানার ১৩৪ বছরের ধারাবাহিকতার ওপর সাম্প্রদায়িক আঘাত হানার অভিযোগ উঠেছে সিমেট্রি রোডের আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী হোটেল আরাম এর মালিকের বিরুদ্ধে ।
উল্লেখিত এলাকার হিন্দু মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মানুষদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে খুলনা সাহেবের কবরখানা এলাকার শারদীয় দুর্গা পূজোটি অতি প্রাচীন আমল থেকে দীর্ঘ ১৩৪ বছর ধরে ঐতিহ্যের সাথে পালিত হয়ে আসছে। আরো উল্লেখ রয়েছে এখানকার শারদীয় দুর্গা পূজো পূর্ব পাকিস্তানিদের দখল আমলেও কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই অনুষ্ঠিত হোতো। তবে এ বছর অভিযুক্ত আরাম হোটেলের মালিক বিভিন্ন আঙ্গিকে স্থানটির বসবাসরত মানুষদের মূর্তি পূজা সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ কটাক্ষ ভাবে সমালোচনা করে সাধারণ মানুষদের মানসিকভাবে বিকৃতি এবং ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাতহেনে এবং তার কুৎসিত অপচেস্টার মাধ্যমে পূজা বন্ধ করার পাঁয়তারায় মেতে উঠেছে। অথচ এই শারদীয় দুর্গাপূজো টি শহরের মানুষের কাছে অতি পরিচিত এবং এখানে প্রতিবছরই বিভিন্ন আদলে মন্দির তৈরি এবং আলোকসজ্জা সজ্জিত করে মহাসমারের সাথে পূজোটি উদযাপিত হয়ে থাকলেও এবছর মহাসমারহে সাথে উৎসব আয়োজন ও আলোকসজ্জার ক্ষেত্রে ব্যাগরা দিয়ে অনুষ্ঠানটি মলিন করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
অথচ দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের নির্দ্বিধায় নিশ্চিন্তে অপপরিকল্পনা ও নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি পালন করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ দেশের সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের সক্রিয়ভাবে সজাগ দৃষ্টি রেখে পূজা চলাকালীন সকল ধরনের সহযোগিতা করার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনকর্তাদের কঠোরভাবে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
আর এদিকে সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে গায়ের জোরে ক্ষমতার দাপটে বিএনপি জামাতের নাম ভাঙিয়ে ১৩৪ বছরের ঐতিহ্য বিলীন করার চেষ্টায় অতপ্রতভাবে মেতে উঠেছে আরাম হোটেলের মালিক। তার অপপ্রচেষ্টার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় সাহেবের কবর খানা পূজা উদযাপন আয়োজক কমিটি ।