বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
সারাদেশ জুড়ে বেশ কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কারণে গরমের তীব্রতা কমে কিছু টা হলেও মানুষ ও জীব বৈচিত্র তথা প্রাণীকুলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে পেলেও আজ থেকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানিয়েছে নতুন দুঃসংবাদ যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত দেশের পাঁচ বিভাগ তথা খুলনা বিভাগের জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলবে ভয়াবহ তাপাদহের চোখ রাঙানিতে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী কিছুটা হলেও গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে সে পূর্বাভাস উপলব্ধি করা গেছে সন্ধ্যার পর থেকে গরমের দাপটে ক্লান্তি করেছে শ্রমিক শ্রেণি মানুষদের দড়দড়ায়ে ঘাম ঝরেছে শরীর থেকে পার্কে ফাঁকা জায়গায় বসে ক্লান্তি দূর করার জন্য বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষদের।
গেল সপ্তাহখানেক সময় ধরে তাপমাত্রার ঘরে ৩১ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও আজ সকাল থেকে তা পরিবর্তন হয়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রার পারদ লাফিয়ে উঠেছে। আর এই তাপমাত্রা তীব্র রূপ ধারণ করে তিন থেকে চার দিন স্থায়িত্ব হবে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। তবে অসহ্য গরম থাকলেও সাথে মাঝেমধ্যে হঠাৎ হঠাৎ দুপুর শেষে বিকালের দিকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে খুলনা আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞ কর্মকর্তা জানিয়েছেন চলতি মাসের শেষ নাগাত ২০০৯ সালের ঘটে যাওয়া আইলা ঝড়ের থেকে অধিক শক্তি নিয়ে আরেকটি শক্তিশালী ঝড় তাণ্ডবে রূপ ধারণ করে বঙ্গোপসাগর সমুদ্র ও সুন্দরবন এলাকা জুড়ে প্রচন্ড গতিবেগে আঘাত হানার সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঝড়টির নামকরণ ও প্রথম পূর্বাভাসের বার্তা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য দেশ ওমান এসটির বিজ্ঞ আভাবিদ্রা ঝড়টির নামকরণ করেছে ‘রেমাল ‘ যার অর্থ বালি। এদিকে পার্শ্ববর্তীদেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়াবিদরা আবহাওয়া বার্তার ওপর এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন চলতি মাসের শেষের দিকেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ তেনারা আরো জানিয়েছেন বঙ্গোপসাগরেই তো মধ্য ঘূর্ণিঝড়টির আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যা আগামী ২০ মেয়ের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে অভিমু কিংবা গতিপথ কোন দিকে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি আবহাওয়াবিদরা বলছেন রেমালও বিগত ২০০৯ সালের আইলার থেকেও অধিক বিধ্বংসকারী হতে পারে যা দেশের দক্ষিণ অঞ্চলীয় বঙ্গোপসাগর সহ তৎসংলগ্ন এলাকার নদী বন্দর সমূহ সুন্দরবন বাগেরহাট, শরণখোলা, রাইন্দ,এদিকে খুলনা বিভাগের বেশ কিছু অঞ্চল জুড়ে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় রেমালে তাণ্ডব চলতে পারে যার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে খুলনা বিভাগের নদী বন্দর উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ জনগণ। অপরদিকে ঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সকল জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আনসার ভিডিপি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফায়ার সার্ভিস এর কর্মকর্তাগণ বিজিবি বাহিনী সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাগণ প্রস্তুত থেকে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার আশ্রয় কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত রাখা হবে।