বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৩১ টি ওয়ার্ডের মধ্য বসবাসরত ১৫ লক্ষ জনগণ মশার উপদ্রবে চরম ভোগান্তিতে জীবনপার করছে প্রতিটি ওয়ার্ডের আবাসস্থল এর নিচ তলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত সন্ধ্যা হলে মশার ভনভনানিতে একেবারে অতিষ্ঠ্য জনজীবন । দিনের বেলাও মশার কয়েল মশারি টাঙানো ছাড়া ক্লান্তির অবসরে একটু বিশ্রাম নেয়ার কোন উপায় নাই। ফলে মশাবাহিত নানাবিধ রোগাক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে অসংখ্য রোগী। তা সত্ত্বেও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ রয়েছে উদাস ভূমিকায়। নাই নগর জুড়ে মশা নিধনের জোরালো কোন কার্যক্রম সাথে শহরের যত্রতত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে ময়লা আবর্জনার স্তূপ সেখান থেকে প্রতিনিয়ত জন্ম নিচ্ছে কোটি কোটি মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় অথচ নগর পরিচ্ছন্নর জন্য সিটি কর্পোরেশনে পর্যাপ্ত সরকারি বেতনভুক্ত পরিচ্ছন্ন কর্মী সাথে মশা নিধন কার্যক্রমের জন্য নগর ভবনের ফান্ডে বরাদ্দ পর্যাপ্ত অর্থ থাকা সত্ত্বেও দায়িত্বরত ব্যক্তিদের নাই কোন মাথাব্যথা। এদিকে বিগত দুই বছর যাবৎ সারা দেশের সাথে খুলনাতেও মহামারী রূপ ধারণ করেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আর এ সময় সুযোগ বুঝে ফায়দা লুটেছে চিকিৎসকসহ ঔষধ ব্যবসায়ীরা। আর এই ডেঙ্গু মহামারীকে সামাল দেওয়ার জন্য সরকার নানান পন্থায় মশা নিধনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে ডেঙ্গুর প্রতিরোধ গড়ে তুললেও কর্পোরেশনের উদ্বর্তন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সে ক্ষেত্রে একেবারেই সদাই শিব।
আর এ ব্যাপারে নগরীর প্রত্যেকটি এলাকার ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ আঙ্গুল তুলে অভিযোগ করছে নগর ভবনকে কারণ গেল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ইশতেহারে সাবেক ক্ষমতায় থাকা সিটি মেয়র সহ তার সাঙ্গোপাঙ্গরা নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে সাংবাদিক সহ সামাজিক ব্যক্তিবর্গদের সামনে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রথম শর্ত ছিল খুলনা নগরী হবে একটি তিলোত্তমানগরী সুন্দর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে মশা ও দূষণমুক্ত নগরী হবে খুলনা। সাধারণ জনজীবনে আসবে স্বস্তি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে অব্যাহত দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে তুলনা করতে গেলে খুলনা হবে একটি রোল মডেল তবে এসব কথা এখন সবই রূপকথার গল্পের শামিল হয়েছে কারণ জনগণ ভুগছে মশার উপদ্রবে ভুগছে রাস্তা খননের কারণে বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দরে চলাচলের অনুপযোগী অধিকাংশ সড়ক সামান্য বৃষ্টি হলে হাঁটু পরিমান পানির নিচে থাকে সমগ্র শহর তারপর আবার ফুটপাত দখল এবং অবৈধ থ্রি হুইলার ও ইজিবাইক এবং রিক্সার কারণে যানজট তো লেগেই রয়েছে সবকিছু মিলে সাধারণ মানুষদের অভিযোগের কোন অন্ত নাইএই ভবনটির ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। সাথে জনগণের অভিযোগ এর ক্ষেত্রে বাদ পড়েনি কোন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিরাও কারণ একটি ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর তার নিজ দায়িত্বে নগর ভবনের পরিচ্ছন্ন কর্মী দ্বারা নিজে তদারকি করে ওয়ার্ড এর প্রতিটি এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টা করলে ওয়ার্ডে বসবাসরত জনগণের জীবনে নেমে আসে না এমন দুর্বিষহ যন্ত্রনা। কারণ তৎকালীন সময় তারা ছিল লুটপাট আরা অর্থ আত্মসাৎ এর লালসায় মগ্ন।
তবে মশা নিধন ও নগর পরিচ্ছন্নের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মশা নিধন ও যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা আবর্জনার স্তুপ পয়নিষ্কাশন কর্মী দ্বারা প্রতিনিয়ত পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে না ফলে নগরের অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। তবে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনগণ যেভাবে অভিযোগ করে দায়ী করেছে সিটি কর্পোরেশনসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের ঠিক ততটা
হীন অবহেলা ও অপরিচর্জায় নগর সেবা বিহীন পড়ে রয়েছে শহরের অলিগলি। তবে বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বরত কর তাদের তদারকিতে প্রতিনিয়ত পরিচ্ছন্ন কর্মী দ্বারা
পয়নিষ্কাশন করা হচ্ছে জলাবদ্ধতা নিরসন করা হচ্ছে মশা নিধনের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ওষুধ কীটনাশকের মাধ্যমে মশক নিধন কার্যক্রম প্রক্রিয়া চালু রাখা হয়েছে তাছাড়া নগরীর প্রধান প্রধান অধিক জনসংযোগ এলাকায় মাইকিং করেও জনগণদের সচেতন করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে শুধু সিটি কর্পোরেশন ব্যক্তিবর্গরা যে দায়ী
ঠিক তাইনা। এর পাশাপাশি নগরীতে যে সমস্ত মানুষেরা বসবাস করে তাদেরও সচেতন ভাবে বসবাস করা উচিত কারণ জলবদ্ধতা নিরসনের জন্য তো সিটি কর্পোরেশন রয়েছে মশক নিধন করবে পাশাপাশি ময়লা আবর্জনা স্তূপ যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখছে এলাকার জনগণ। আর এই ময়লা আবর্জনা শুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলাবার জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে ডাস্টবিন এবং ছোট ছোট বাস্কেট বিনও দেওয়া হয়েছে অথচ সে সকল জায়গায় ময়লা আবর্জনা না ফেলে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলছে ফলে নগর অপরিচ্ছন্ন হচ্ছে এবং মশা ও পোকামাকড়ের বংশ বিস্তার করছে।
তবে নগর ভবনের সংশ্লিষ্ট কর্তাদের এ কথার প্রেক্ষিতে নগরবাসী অভিযোগ করে বলেছেন যদিও নগর ভবন থেকে মশক নিধন ও
পয়নিষ্কাশন জলাবদ্ধতা নিরসণের ব্যবস্থা করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল কারণ মশা বৃদ্ধির একটাই কারণ মশক নিধনের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে তারা পরিচালনা অব্যাহত রাখছে না যেখানে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মশক নিধনের ওষুধ প্রয়োগ করবে সেখানে মাসেও একবার দেখা যায় না,ফগার মেশিন ও স্প্রে মেশিন নিয়ে মশক নিধনের ওষুধ ছড়াতে নগরীর বিভিন্ন মহলের বাসিন্দারা আরো অভিযোগ করেছে সিটি কর্পোরেশনের কর্তৃপক্ষ লোক দেখানো দায় সারাভাবে মশক নিধন অভিযান চালাচ্ছে এবং মোড়ে মোড়ে কিছু এলাকায় মাইকিং করে জনসচেতন করলেও কতৃপক্ষ অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ভূমিকায়। পাশাপাশি ময়লা আবর্জনা জলাবদ্ধতা ও রাস্তা খোঁড়াখুরির কথা বলছেন সেটাতো জনজীবনের ভোগান্তির একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরতলিয়ে হাঁটু পানির নিচে আর সন্ধ্যা হলে মশার ভনভানানি পাশাপাশি ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ তো রয়েছেই। তাছাড়া নগরীর ছোটখাটো ড্রেন নর্দমাগুলি সঠিকভাবে পরিস্কার না করার কারণে ড্রেনের পানি এখন রাস্তায় জমে থাকছে ফলে জনজীবন একেবারেই বিপর্যয়ে।