জিয়া চৌধুরী (খুলনা প্রতিনিধি)
খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার (২ অগস্ট) রাতে লবণচরা থানার এস আই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গতকাল (২ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমনকে বেধড়ক মারধর করেন আন্দোলনকারীরা। আহত অবস্থায় সুমন ঘরামীকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেফতার নেই বলে জানিয়েছেন লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক। এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে গতকাল বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দু’টি মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল (২ আগস্ট)শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে নিহত হন সুমন ঘরামী। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও সংঘর্ষে পুলিশের প্রায় ৩০ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, (২আগস্ট২০২৪ইং) বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। তাছাড়া সুমন ঘরামী নামের ০১ জন পুলিশের সদস্য গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন এবং পুলিশের আরো ২৫ / ৩০ জন আহত হন।
নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।