বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে সরকার গঠনের
পর পরই আবারো আলোচনার ঝড় উঠেছে সংরক্ষিত ৫০ টি মহিলা আসনের প্রার্থীদের নিয়ে।
আর সে লক্ষ্যে খুলনা রাজনৈতিক অঙ্গনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশ কয়েকজন একনিষ্ঠ মহিলা নেত্রীদের নামের গুঞ্জন সরব হলেও খুলনার স্থানীয় দলীয় নেতা সহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বিশ্লেষকদের আলোচনার বাতাসে ভাসছে উল্লেখযোগ্য দুই নেত্রীর নাম। একজন অধ্যাপিকা রুনু ইকবাল বিথার অপরজন সাবেক সংরক্ষিত এমপি এ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার। অপরদিকে ৩১ জানুয়ারী নির্বাচনোত্তর মন্ত্রী পরিষদ গঠনের পর প্রথম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যদিও সাংবিধানিকভাবে উল্লেখ রয়েছে যে মূল নির্বাচনের ৯০ দিনের মধ্য সংরক্ষিত মহিলা আসনের কার্যক্রম সম্পন্ন করে সংসদের পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে হলে ৫০ টি সংরক্ষিত মহিলা এমপিদের উপস্থিতি একান্তই গুরুত্বপূর্ণ আবশ্যকতা রয়েছে।
এ লক্ষ্যে দেশের জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৫০ টি মহিলা আসনের মধ্যে খুলনা অঞ্চল থেকে দৌড়ঝাঁপের মাধ্যমে বিভিন্ন কৌশলে দলীয় উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মন জয় করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকজন নেত্রী বিভিন্ন পর্যায়ে থেকে দলীয় সকল কার্যক্রম মেনে রাজপথ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের দলীয় বিভিন্ন সাংগঠনিক ব্যানারের সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে নিজেদের পরিচিত করার জন্য সক্রিয়ভাবে দল তথা সাধারন মানুষদের মন জয় করার প্রত্যয়ে অবশেষে সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে মনোনয়নপত্র কেনার জন্য এগিয়ে এসেছে তার মধ্য উল্লেখযোগ্য ভাবে রয়েছেন যে দুজন।
তানাদের ব্যক্তি পরিচয়ের দিক থেকে একজন বর্তমান সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিনের বোন রুনু ইকবাল বিথার যিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা হিসেবে নির্বাচন করার জন্য খুলনা-৩ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিলে দলের কর্ণধর ব্যক্তিদের সিদ্ধান্তে সে যাত্রায় তিনি বঞ্চিত হন। ফলে সংসদের সংরক্ষিত ৫০ টি মহিলা আসনের মধ্য খুলনা থেকে দলের জন্য ত্যাগ তিতিক্ষার প্রতিফলনের ফলস্বরূপ পুনরায় মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুুতি নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের দ্বারস্থ হয়েছেন।
অপর দিকে যিনি রয়েছেন তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দাকোব বটিয়াঘাটার অবহেলিত মানুষদের অত্যান্ত প্রিয়ভাজন জনপ্রিয় নেত্রী সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি এ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার সাদামাঠা অতি সাধারণ একজন নেত্রী যার পদচারনা কৃষকের মাঠ থেকে প্রত্যান্তঞ্চলের অসহায় মানুষের গ্রাম তথা একজন আইনজীবী হিসেবে আদালত পাড়া থেকে শুরু করে গণতন্ত্রের অন্যতম কাঠামোগত জাতীয় সংসদে গিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে যিনি সর্বদাই নিবেদিত ভাবে সর্বক্ষেত্রে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন অসহায় নির্যাতিত বঞ্চিত সমাজের ছিন্নমূল নারীদের পাশে থেকে।
সে লক্ষ্যে তিনি পুনরায় সংরক্ষিত মহিলা আসন দাকোব বটিয়াঘাটা খুলনা অঞ্চল থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে অধ্যাপিকা রুনু ইকবাল বিথার এ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার ও বেগ মন্নুজান সুফিয়ান ছাড়াও সম্ভাব্যপ্রার্থী রয়েছেন চিতলমারী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কালিদাস বড়ালের স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হ্যাপি বড়াল,ও নুর আফরোজ আলী,নগর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট অলকানন্দা দাস,নগর আওয়ামী লীগের সদস্য এডভোকেট সুলতান রহমান শিল্পী,যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি আফসানা হাসান ডেইজি, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আফসানা ফেরদৌস কেকা,জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক এডভোকেট সেলিনা পিয়া, জেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জলি,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আফরোজা জেসমিন বিথী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি চৈতালিয়া হালদার চৈতি। মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও বলেছেন তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথের রাজনীতিতে আছেন। পরিক্ষিত নেত্রীদের বিষয়ে দল মূল্যায়ন করলে তারা মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। এদিকে নেত্রীর সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি আর জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা খুলনা বিভাগের জয় লাভ করতে পারেনি। তাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন এটা নিশ্চিত।