মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ
মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের ডাসার থানা পুলিশ নবদম্পতিকে থানায় এনে গভীর রাতে নববধুকে মারধর জোরপূর্বক পিছনের গেইট দিয়ে টেনে হেজড়ে হাত-পা ধরে শুন্নে জাগিয়ে ফ্লীম স্টাইলে পরিবারের লোকজনের কাছে তুলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার রাত আনুঃ ১২ঃ৫৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
গত সোমবার হিন্দু ধর্মীয় নিয়মনীতি মেনে বিয়ে হয় এবং বিয়েকে আরও কার্যকর করতে ৯ নবেম্বর মাদারীপুর কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন করেন।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, রাজৈর ও মুকসুদপুর থেকে নবদম্পতি
কিশোর মন্ডল(২০)
এবং দোলা বারুরী(১৭) বিয়ে সম্পন্ন করে পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের চলবল গ্রামে কিশোর মন্ডলের বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ডাসার থানা পুলিশের এসআই রতন মন্ডল গতকাল রাত ১০ঃ৩০ মিনিটে নববধুর পরিবারের লোকজন নিয়ে চলবল গ্রাম থেকে মারধর করে ডাসার থানায় নিয়ে আসেন এবং রাত ১টা ৫৫ মিনিটে পুনরায় নববধূকে মারধর করে টেনে হেজড়ে এক পর্যায় জোরপূর্বক হাত-পা ধরে শুন্নে জাগিয়ে থানার সিসি ক্যামরা আড়াল করে থানার ডাইনিং রুমের গেইট দিয়ে ফ্লীম স্টাইলে পরিবারের লোকজনের নিয়ে আসা মাইক্রো বাসে তুলে দিলেন ডাসার থানার এসআই রতন মন্ডল।
ভুক্তভোগী কিশোর মন্ডলের পিতা কমল মন্ডল বলেন, আমার ছেলে ধর্মীয় নিয়ম নীতি মেনে সুদূর পড়িয়ে দোলা বারুরীকে বিয়ে করেন এবং ওদের বিয়েকে কার্যকর করতে মাদারীপুর কোর্টের মাধ্যমেও বিয়ে করেন। আমার মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গিলে সেখান থেকে ডাসার এসআই রতন ধরে থানার ভিতরে এনে মারধর আমার পুত্র বধুকে টেনে হেজড়ে তার পরিবারের কাছে দেয় গভীর রাতে। আমি রাত দুই টার দিকে থানায় এসে পুত্রবধু দোলাকে পাইনি। এসআই রতন মন্ডল পুত্র বধুকে কার কাছে দিল গভীর রাতে, আসলেই কি তার পরিবারের কাছে দিয়েছে, তাও জানি না।
আমার ছেলে কিশোর মন্ডলকে সকালে আমাদেরকে ফেরত দেন ডাসার থানা পুলিশ।
ডাসার থানার এসআই রতন মন্ডলের কাছে গভীর রাতে এভাবে জোরপূর্বক পিছনে গেইট দিয়ে ফ্লীম স্টাইলে দেয়ার বিষয় জানতে চাইলে বলেন, আপনার মেয়ে হলে কি করতেন, মেয়ের বাবা কোটি কোটি টাকার মালিক। মেয়ের বাবার অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, রাজৈর থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তবে অভিযোগের কপি দেখাতে পারেন নি।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন বলেন, মুকসুদপুর থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ হয়।তারা কললিস্টে তদন্ত করে দেখেন ডাসার থানার আওতায় আছে। মৌখিক কথার ভিক্তিতে তাৎক্ষনিক উদ্ধার করে করে থানায় আনা হয়।
গভীর রাতে টেনে হেজড়ে জোরপূর্বক পিছনে গেইট দিয়ে ফ্লীম স্টাইলে তুলে দেয়ার বিষয় জানতে চাইলে বলেন, এসআই রতন এটা করতে পারে না। বিষয়টি আমার জানতে হবে।