খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ
চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলার কমিনিষ্ট পার্টির নেতা হুজী শহীদ হত্যার প্রতিশোধ নিতেই কেসিসির ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী টিপু কে হত্যা করা হয়েছে। টিপু হত্যায় হুজী শহীদের ভাতিজা জামাল শেখের পুত্র শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭) ও তার সহযোগী কেসিসির ৬নং ওয়ার্ডের কারিগর পাড়ার মোঃ হায়দার সরদার অদুদের ছেলে গোলাম রসুল (২৫) ও ৪নং ওয়ার্ডের দেয়ানা মোল্লা পাড়ার
মোঃ সেলিম আকন্দের মেয়ে ঋতু (২৪) জড়িত বলে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া আরো অনেকে সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে জানান। টিপু হত্যা কান্ডে সরাসরি শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু, সহযোগী হিসেবে গোলাম রসুল ও ঋতু নামের নারীকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। টিপুকে হত্যার সময় এই তিন জনই কক্সবাজারে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, শাহিরিয়ার ইসলাম পাপ্পু ও সহযোগী গোলাম রসুল উঠেছিলেন কক্সবাজার শহরের কক্স কুইন রিসোর্টে । টিপুর সাথে থাকা নারী ঋতু টিপুর গতিবিধি সম্পর্কে কিলার পাপ্পুকে তথ্য দিতে থাকে। সময় ও সুযোগ বুঝে গত ৯ জানুয়ারী রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে টিপু কে হত্যা করে তিন জনই পালিয়ে যায়। টিপু হত্যাকান্ডে যে আগ্নে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সেটি আমেরিকার তৈরি পিস্তল। কে বা কারা এই অস্ত্র সরবরাহ করেছে সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। খুনিরা-টিপুকে খুনের পর তাদের ব্যবহারির অস্ত্রটি কক্স কুইন রিসোর্টের ২০৮ নম্বর কক্ষের বাথ রুমের চিলেকোঠায় রেখে পালিয়ে যায়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহারিত অস্ত্র সহ ৪ রাউন্ড গুলি পুলিশ উদ্ধার করে। টিপুর হত্যার কান্ডে ব্যবহারিত যে গুলি ব্যবহার করা হয়েছে সেই গুলির খোসার সাথে উদ্ধারকৃত গুলির হুবহু মিল রয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার ঘটনায় আটককৃত আসমিদের গত পরশু মঙ্গলবার সিলেট বিভাগের মৌলভবী বাজার জেলার জুড়ি থানা এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি খুলনার নেতা ছিলেন হুজি শহীদ। এই হুজী শহীদ হত্যা মামলার সংঙ্গে জড়িত চার আসামীদের মধ্য আরও এক আসামিকে এই তিন আসামি একইভাবে ২০২২ সালে হত্যা করে বলে পুলিশের কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ বলেন। তিনি আরো বলেন হুজী শহীদ হত্যার প্রতিশোধ, স্থানীয় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের বিষয়ও রয়েছে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে। খুব কৌশলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হত্যাকাণ্ডের জন্য আসামিরা কক্সবাজারকে নিরাপদ স্থান মনে করেছেন। এ ঘটনার পরপর আটক হয়ে কারাগারে থাকা খুলনার আরেক সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালুর কক্সবাজারে আসার কারণ ও কক্সবাজারে টিপুর বন্ধু মেজবাহ উদ্দিন ভুট্টোর সম্পৃক্ততা আছে কিনা এই বিষয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্ল্যেখ্য গত ১০ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন টিপুর ভগ্নিপতি মো. ইউনুস আলী শেখ।