শাহিনুর রহমান সুজন।
নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই বিভিন্ন নাশকতা, সন্ত্রাস, মাদক কারবারীরা ততপর হয়ে উঠে। বিগত দিনের তথ্যমতে রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে কিছু সংখ্যক অসত ব্যাক্তি অপকর্ম করছে।
তাদের স্থায়ী কোন ঠিকানা নেই। কে বা কাহারা তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে সেটাও তারা জানে না।
ইতোপূর্বে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই রকম তথ্য দিয়েছে আটককৃত আসামীরা।
একই ধারাবাহিকতায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হাই গতকাল বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত চারঘাট উপজেলায় একটি অভিযান পরিচালনা করেন।
পরে তারা অভিযুক্তকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে অপরাধী যে কোন ব্যাক্তি হোক না কেন তাদের সঙ্গে কোন আপোশ করবে না পুলিশ।
আসন্ন নির্বাচনকে নিয়ে কোন ধরনের নাশকতা করতে দেয়া হবে না বলেও জানান, জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান পিপি এম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকের উপস্থিতিতে আটককৃত আসামীর সকল তথ্য উন্মোচন করেন পুলিশ সুপার। ওই সময় পুলিশ সুপার স্থানীয় সাংবাদিকের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বৃহস্পিতিবার দিবাগত রাতে চারঘাট উপজেলার বনকিশোর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রঙ্গনে আগ্নেয়াস্ত্র, হিরোইন, ফেন্সিডিল বিক্রয়ের প্রস্তুতী চলছিল।
ওই সময় ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। মাদক ব্যবসায়ী সেলিম পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
তবে পুলিশের কঠর অবস্থানের কারনে সে আটক হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে দুইটি দেশিয় ওয়ান শুটার গান, ৫শত গ্রাম হেরোইন, ৫২ বোতল ফেনসিডিল এবং একটি ১৬০সিসি আরটিআর মটর সাইকেলসহ সেলিম আলী (৩০) কে আটক করে ডিবি পুলিশ।
আটককৃত ব্যাক্তি চারঘাট উপজেলার ঝিকরা গ্রামের নকিম উদ্দিনের ছেলে। সে আলোচিত শিলন হত্যার প্রধান আসামি তার বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় হত্যা ও মাদকের বেশ কয়েকটা মামালা আছে।
আইন সকল প্রক্রিয়া শেষ করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
ওই সময় পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসার এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত