জিয়াউল হক,দূর্গাপুর উপজেলা প্রতিনিধি,নেএকোনা।
জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী আওয়ামী লীগ নেতা (আব্দুর রাজ্জাক) পেলেন সরকারি অনুদান। অনুসন্ধান করে জানা যায়, আব্দুর রাজ্জাক
নেত্রকোনার পূর্বধলায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আলোচনায় আসা এক আওয়ামী লীগ নেতা, পেয়েছেন আহত হিসেবে সরকারি আর্থিক অনুদান।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ১০ হাজার টাকার সরকারি চেক গ্রহণ করেন আব্দুর রাজ্জাক নামের স্থানীয় ওই আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি জেলার পূর্বধলা উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুলাই ও আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানে,ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারে হামলা হয়। ওই ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে কয়েকজন আন্দোলনকারীর বাসাতেও হামলা করেন। তবে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে আহত হন আব্দুর রাজ্জাক। পরে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে তিনি এলাকা ছেড়ে পালান।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আমি কিছুদিন ময়মনসিংহে চিকিৎসাধীন ছিলাম। পরে এক ব্যক্তি আমাকে ফোন দিয়ে জানান, উপজেলা পরিষদে যোগাযোগ করলে সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এরপর আমি সেই বরাদ্দ গ্রহণ করি।
ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি ছাত্রআন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। আওয়ামী লীগেও কোনো পদ নেই বলে জানান তিনি।
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজওয়ানা কবির বলেন, ‘আমি সম্প্রতি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। এই বরাদ্দ আমার পূর্বসূরির সময় অনুমোদিত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে, পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।