মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ
বাংলাদেশ জামায়াতে আমীর ডা.শফিকুর রহমান বলেছেন-আমার আফসোস এই যুদ্ধে শহীদদের মধ্যে আমি একজন হতে পারলাম না।এই সৌভাগ্য আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে দান করেছে তাদের জন্য আমার ইর্ষা হয়। এই আন্দোলনে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আহত-নিহত হয়েছে,এই জাতি আজীবন তাদের কাছে ঋনী।বিভিন্ন হাসপাতালে আহত ভাইদের দেখতে গিয়েছিলাম,কালিজা ফেটে গেছে। এক ভাইয়ের দুই চোখে গুলি লেগে অন্ধ হয়ে গেছে,সে তো আর এই দুনিয়ার আলো দেখবে না।তাদের মা-বাবাকে আমরা কি শান্তনা দিবো।কত মায়ের বুক তারা খালি করেদিলো,একটা বারও কি তারা চিন্তা করলো না।বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত গ্রীন গার্ডেন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়নগঞ্জের শহীদ পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।জামায়াতে আমীর আরো বলেন-রাজশাহী গিয়ে ছিলাম শুনতে পারলাম,আন্দোলনে এক রিকশাচালক ভাই কলসে পানি ও গ্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের পানি খাওয়াতে বেড়িয়েছিলো।এক পর্যায়ে হঠাৎ পর পর কয়েকটি বুলেট তার দেহভেদ করে চলে যায়। সে বিয়ে করেছিলো মাত্র এক বছর,তার স্ত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।সে আমাকে বললো-আমি নিজেকে নয় আমি আমার গর্ভের সন্তান নিয়ে চিন্তিত।আমি বললাম-তোমাদের আল্লাহ তায়ালা পথ দেখাবেন।আর মানুষ হিসেবে আমরা পাশে থাকবো। প্রতিমাসে তোমাদের সম্মানের সহিত চলার মতো একটি অংশ তোমাদের কাছে পৌছে যাবে।তিনি আরো বলেন-আমরা প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের সাথে বসেছিলাম।আমরা বলেছি-যেই পরিবারগুলোর আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন আপনারা তাদের, সহযোগিতা করেন।আহতদের জন্য যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করুন,আমরা আপনাদের পাশে আছি।সকলেই বলছে এটা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা।আমার দৃষ্টিতে এটা আমার তৃতীয় স্বাধীনতা-১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪। এই তৃতীয় স্বাধীনতায় বীরদের বীরত্বগাথা আমাদের পাঠ্যপুস্তক সহ সকল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থান করে দিতে হবে।এটা তাদের পরিবারের চাহিদা নয়,এটা আগামী প্রজন্মের চাহিদা।তারা যাহাতে জানতে পারে,তাদের পূর্বের যুবকরা জালেমের সামনে বুক পেতে দিয়ে দাড়িঁয়ে ছিলো।তারা বলেছিলো-বুকের ভিতর তুমুল ঝর,বুক পেতেছি গুলি করো। একটি জাতি যেখানে দাঁড়িয়ে যায়,কোন স্বৈরাচার সেখানে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না।সেই রাত গুলোতে অনেক অপকর্ম হয়েছে।যেমনটা হয়েছিলো ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে।সেই রাতের লাশ গুলো কোথায় গেল?জানি না।আসুন সকল শোককে আমরা শক্তিতে রুপান্তরীত করি।নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন,কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমদ,ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম,জেলা আমীর মুমিনুল হক, মহানগরীর নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম,মহানগরীর সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন,ইসলামী ছাত্রশিবির নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সভাপতি আসাদুজ্জামান রাকিব,জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি জাকির হোসাইন ,মহানগর জেলা সহকারী সেক্রেটারি জামাল হোসাইন।