জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছে চরম বিপাকে। সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। গত সাতদিন ধরে দিনভর সূর্যের মুখ দেখা যায় না। ফলে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষজন।
সোমবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা গতদিনের চেয়ে আরো ১ডিগ্রি কমেছে। এদিকে, রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় জেলার শীতের ঠান্ডার তীব্রতা বেড়ে গেছে। ঠান্ডা বেশি অনুভূত হওয়ার ফলে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন ঘর থেকে বের হতে না পেরে পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই পেতে আগুনের পাশে উত্তাপ নিচ্ছেন। কোটচাঁদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের শীতের প্রকোপ সম্পর্কে জানা গেছে। সাবেক মেম্বার রবিউল ইসলাম ও মিন্টুর সাথে কথা বলে জানা গেছে গ্রামের মানুষ কনকনে ঠান্ডায় স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা চরম বিপাকে পড়েছে।
জেলার সদর হাসপাতাল ও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়। তবে এ হার আরো বাড়তে পারে।
এ জেলার প্রচন্ড শীতের কথা বিবেচনা করে শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে অনেক প্রতিষ্ঠান।