ঢাকাSaturday , 14 October 2023
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টাঙ্গাইলে আদিবাসী এলাকায় সুশিক্ষার ব্যবস্থায় আলোর ভুবন

দেশ চ্যানেল
October 14, 2023 11:00 am
Link Copied!

আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু,টাঙ্গাইলঃ

টাঙ্গাইলে মধুপুর বনাঞ্চলে গারো আদিবাসী আর মুসলিম বাঙ্গালীদের নিয়ে গড়ে উঠেছে জনপদ। চারপাশে বন মাঝে মাঝে জনপদ। এ অঞ্চলে গারো আদিবাসীরা এসেছে প্রায় ৪০০ বছর আগে। এতে বাঙ্গালী মুসলিমদের আগমন ঘটে ৫০ দশক থেকে। ধীরে ধীরে গড়ে উঠে আদিবাসী- বাঙ্গালী অধ্যুষিত এলাকা। যাহা টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটা দুরে অবস্থিত।
গহীন বনাঞ্চলের ভিতরে লাল মাটি পাহাড়ী এলাকায় বেরিবাইদ ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গালিয়া ও উত্তর জাঙ্গালিয়া গ্রামে রয়েছে সারি সারি আদিবাসী বাড়ি। সাধারণত আদিবাসীরা সব সময় একত্রে বসবাস করে। আদিবাসী পরিবারগুলোর পাশাপাশি এই অঞ্চলে এখন বাঙ্গালী মুসলিমদের বসবাস চোখে পড়ার মত। বনাঞ্চলের শাড়ি শাড়ি গাছ আদিবাসী এবং মুসলিম বাঙ্গালীদের গভীর মিতালী। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রাদায়িক দাঙ্গা থাকলেও মধুপুরে গারো আদিবাসীদের সাথে বাঙ্গালী মুসলিমদের কোন দাঙ্গা নেই বলেই চলে।
আমাদের প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সালে পূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রুপান্তিরিত হয় এবং স্কুলের নিজস্ব নামে ৫ম শ্রেনীর পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এরপর পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়টি স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে। তিনি আরো বলেন, একশত,দুইশত এবং ৩শত টাকা করে সংগ্রহ করে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হয়।
অপরদিকে ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি অর্থ সংকটে পড়লে আব্দুল আলীম নামের একজন ব্যক্তি বিদ্যালয়ের মাসিক খরচের উদ্যোগ নেন। তিনি ২০২০ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ব্যয় নির্বাহে সহযোগীতা করেন। এরপর বিদ্যালয়টি বিরাট অর্থ সংকটের মুখোমুখি হলে একেবারে বন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা করেন বিদ্যালয়ের পরিচালক জাহাঙ্গীর কবীর ও সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা।
আলোর ভুবন আর্দশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাজমুল আহমেদ ও রিমা হাজং বলেন, এই অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থা চিন্তা করে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়টি উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয় এবং বর্তমানে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৮ জন শিক্ষকসহ ছাত্রছাত্রী রয়েছে প্রায় ৩০০ জন। এ পর্যন্ত বিদ্যালয়টি থেকে ১০টি ব্যাচের প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী পঞ্চম শ্রেনীর সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে, বর্তমানে তারা দেশের বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রয়েছে।
তারা আরো বলেন,বিদ্যালয়ের কোন ছাত্র ছাত্রীদের বেতন নেওয়া হয়না। এছাড়াও শিক্ষক যারা আছেন তারা এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বেতন নিতে চান না । তবুও পরিচালক শিক্ষকদের সন্মানী দিয়ে থাকেন।
প্রতিষ্ঠাতা আরেক সদস্য লিটন সরকার বলেন,২০২২ সাল থেকে বিদ্যালয়টিতে সহযোগিতার হাত বাড়ান সৈয়দ আনসার উল্লাহ, বাবু আহমেদ, সাজ্জাদ হোসাইনসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তি। বর্তমানে তাদের অর্থায়নে এবং বিদ্যালয়ের পরিচালক, সহকারী পরিচালকের অর্থায়নে চলছে। তবে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের অভাব থাকায় বিদ্যালয়টি বিভিন্ন সেবার জোগান দিতে পারছেনা। সরকারি বিদ্যালয়হীন গ্রামটি অসংখ্য নিবেদিত মানুষের প্রচেষ্ঠায় আলোর ভুবন বিদ্যালয়টি দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় এই অঞ্চলের নিরক্ষরতা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
উল্লেখ্য ২০০৮ সালের আগে এই অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার হার ছিল

১০%, যা বর্তমানে ৯৫% এ উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার হার বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার হার।

এবিষয় প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো.জাহাঙ্গীর কবির বলেন, অতীব দু:খের বিষয় বিদ্যালয়টি এই অঞ্চলের একমাত্র বিদ্যাপীঠ হলেও গত ১৫ টি বছরেও সরকারি কোন অর্থ সহযোগিতা পায়নি। বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতার জন্য আবেদন করা হলেও তা মঞ্জুর হয়নি। এমতাবস্থায় কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় চলছে বিদ্যালয়টি। তবে অর্থ সংকটের কারণে অনেক কিছুরই যোগান দিতে পারছেনা বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ে নেই পর্যাপ্ত আসবাবপত্র, বেঞ্চ, নতুন কয়েকটি ক্লাসরুম নির্মিত হলেও অর্থ সংকটে সেগুলির দরজা জানালাও তৈরি করতে পারেননি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । বাকি রয়েছে নতুন ক্লাসরুমগুলিতে মাটি ভরাটের কাজটিও। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দরাও এই মহৎ কাজের অংশীজন হিসেবে তারাও এক প্রকার স্বেচ্ছাশ্রমে নিয়োজিত রয়েছেন এখানে। তাদের পাশাপাশি বিদ্যালয়টির প্রতি সরকারের সুদৃষ্টির জোর দাবি জানান ।

তিনি আরও বলেন,প্রতিষ্ঠার পর থেকে একনিষ্ঠ শ্রম ও সাধ্যমত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়টির পাশে থেকেছি। বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়েছিল ফুটপাতের পলিথিনের শেডে এবং পরিত্যক্ত ঘরে। একদম ফুটপাত থেকে বিদ্যালয়টি এতদূর নিয়ে আসতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে । অতীতে র মত ভবিষ্যতেও তিনি বিদ্যালয়টি জন্য সর্বোচ্চ ডেডিকেশন দিয়ে পাশে থাকবেন এবং কি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে এই বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং আলো ছড়াচ্ছে তাই বিদ্যালয়টিতে সরকারি সহযোগিতার জোর দাবি জানান তিনি। ভবিষ্যতে এই বনাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা যাতে অল্প খরচে পড়াশোনা করতে পারে এবং মাধ্যমিকের পর যাতে ঝরে না পড়ে এজন্য একটি কলেজ করার পরিকল্পনার কথাও ব্যক্ত করেন তিনি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST