টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
৭ দফার দাবি না মানলে আগামী ২৫ মার্চ থেকে পরবর্তী ১৫ দিন সারা দেশে ইট বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরেও দাবি বাস্তবায়িত না হলে আগামী বছর থেকে দেশের সকল ইটভাটার ইট উৎপাদন বন্ধের হুশিয়ারি দেন সংগঠনের নেতারা।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারি সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান।
এর আগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ইট ভাটার মালিক ও শ্রমিকরা জেলা সদর এলাকায় জড়ো হয়। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সমাবেশ করে। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারির মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এ দিকে সমাবেশে মালিক সমিতির নেতারা বলেন এই শিল্পের সাথে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। সবকিছুই মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও এই খাতের মালিকদের প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার ব্যাংকে লোন রয়েছে। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই লোনের টাকা অনাদায়ী থেকে যাবে। হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে সরকার।
প্রসঙ্গত, ঝিকঝ্যাক ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তির জটিলতার নিরসনের জন্য বাংলাদেশের ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির ৭ দফার দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
তাদের দাবি গুলো হচ্ছে, ২০১৩ সনের ইটভাটা নিয়ন্ত্রন আইনের জিগজাগ ভাটা বৈধ পদ্ধতির উল্লেখ থাকলেও উক্ত আইনের ৮ (৩) (ঙ) এবং ৮ (৩) (খ) উপ-ধারায় “দুরত্ব নির্দিষ্ট” করনের কারনে দেশের কিছু জিগজাগ ইটভাটার মালিকগণ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর হাইব্রিড কিলুন এবং ট্যানেল কিলন এর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দুরত্ব ১০০০ মিটারের পরিবর্তে ৪০০ মিটার নির্ধারন করেছে সুতরাং আমাদের জিগজ্যাগ ভাটার জন্য উক্ত আইনের ৮ (৩) (ঙ) ধারায় নিষিদ্ধ এলাকার দুরত্ব ৪০০ মিটার এবং আইনের ৮ (৩) (খ) এ বনের দুরত্ব ৭০০ মিটার করে লাইসেন্স ও ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিপত্র জারীর মাধ্যমে পরিচালনা করার সুযোগ প্রদানের আবেদন জানাচ্ছি। জিগজাগ ইটভাটায় কোন প্রকার হযরানী বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না, তাহা না হলে আমরা ভ্যাট টেক্স দেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো। কোন ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারী ভাবে আর্থিক ক্ষতিপুরন দিয়ে বন্ধ করতে হবে। মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে। পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডি.সি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স সহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি ইস্যু/নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়ন পত্র বাধ্যতামূলক ভাবে জমা দেয়ার বিধান করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করছি। ইটভাটাকে শিল্প হিসাবে ঘোষনা দেয়ার দাবী করছি। ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রনয়ন করতে হবে।