আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু,টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধু সেতু ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরে র্যাব পরিচয়ে ছিনতাইকারী চক্রের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ভোরে সাতক্ষীরা ও গত ২৪ আগস্ট, বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ থেকে ছিনতাইকারী চক্রের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত ২২ আগস্ট দুপুরে মির্জাপুর উপজেলার শুভল্যা থেকে যাত্রীবাহী বাস (বিনিময় পরিবহন) থেকে এক ব্যবসায়ীকে আটক করে র্যাব পরিচয়ে তার কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায়।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ময়মনসিংহ জেলার কতোয়ালী থানার নারায়নপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে সফর উদ্দিন ইসলাম মুন্না ও কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার দরিগাও গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে শামীম আহমেদ সবুজ।
জানা যায়, গত ২২ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সেতু ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর উপজেলার শুভল্যা মসজিদের সামনে দুপুরে প্রাইভেটকারে চারজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বিনিময় পরিবহনের বাসের গতিরোধ করে। র্যাবের কটি পরিহিত ৩ জন ছিনতাইকারী বাসের ভেতর উঠে র্যাব পরিচয় দিয়ে হেলাল মোল্লা নামের এক ব্যবসায়ীকে বাস থেকে নামিয়ে গামছা দিয়ে চোঁখ বেধে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে তাদের প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে বেদম মারপিট করে ও হত্যার হুমকি দেয়। এ সময় তার কাছে থাকা ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২’শ টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে জামুর্কী ফ্লাইওভার ব্রীজের উত্তরে ডুবাইল কবরস্থানের পাশে নামিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় তিনি ২৩ আগস্ট মির্জাপুর থানায় মমালা দায়ের করেন। পুলিশ ২৪ আগস্ট ময়মনসিংহ থকে মুন্নাকে আটক করে তিনদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে সবুজকে আটক করে। দুপুরে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
গ্রেফতারকৃত আসামী শামীম আহমেদ সবুজের কাছ থেকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার, ১টি কালো ক্যাপ, ১টি কালো চশমা, ১টি বাঁশের লাঠি, ২টি গামছা, ছিনতাইকৃত ১ লাখ টাকা, ছিনতাইকৃত টাকা দিয়ে নতুন কেনা ১ টি সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল, ১ টি সিম্ফোনি মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদেরকে র্যাব সদস্য হিসাবে পরিচয় দিয়ে ছিনতাইয়ের বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে। ছিনতাইকৃত বাকি টাকা অন্যান্য সদস্যরা ভাগ করে নেয়। আসামীদের ব্যাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করার হয়েছে। র্যাব পরিচয়ে ছিনতাই এর সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।