মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
প্রখ্যাত কবি ও উপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মভিটা মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কাজী বাকাই এলাকার মাইজপাড়া গ্রামের বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে এতথ্য জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশের নেতৃত্বে একটি টিম সরেজমিন ঘুরে এতথ্য নিশ্চিত করেন। এসময় তার সঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
জানাগেছে, মঙ্গলবার সকালে গনমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক সোহেল হাওলাদার প্রখ্যাত কবি ও উপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি দখল, ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সংবাদ প্রকাশের পরপরই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘটনা তদন্তের জন্য সরেজমিন পরিদর্শন করেন ইউএনও। পরিদর্শন শেষে ওই ঘটনার সত্যতা না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হন ইউএনও। তবে ওই সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই আতঙ্কে অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদার আত্মগোপন করেন।
অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদারের ভাই ইউপি সদস্য ওয়াসিম হাওলাদার জানান, কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি দখল, ভাংচুর বা লুটপাটের কোন চিহৃ পাননি ইউএনওসহ সকল প্রশাসনের লোকজন। আমার ভাই সোহেল কবির ঘরের বারান্দায় বসে ওএমএস এর কিছু চাল বিতরন করার জন্য রেখে ছিল। আমি শুনতে পেয়ে নিষেধ করি এবং তাৎক্ষনিক উক্ত চাউল সড়িয়ে নেন। কিছু কুচক্রী মহল অপপ্রচার ছড়িয়েছে যে আমার ভাই ওই ঘর দখলে নিয়েছে। তবে কবির বসত বাড়ির জমির মালিকানার বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এর সুত্র ধরে একটি কুচক্রী মহল সংবাদ কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আমি তীব্র নিন্দা জানাই।
প্রতিবেশী আবিদা সুলতানা ছালমা বেগম ও সাইদুর রহমান হাওলাদার জানান, কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি জমি নিয়ে আমাদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। ওই বাড়ির মধ্য আমাদের ক্রয়সুত্রে অনেক জমির রয়েছে যাহা আমাদের নামে রেকর্ড ভুক্ত রয়েছে। আমাদের জমি আমরা বুঝে পাইনি। এই জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সোহেলকে জরিয়ে এই অপপ্রচার করা হয়েছে।
ডাসার থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, কবির বাড়ি নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর মুল ঘটনা জানার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার জানান, আমি কবির বাড়ি নিয়ে সংবাদ দেখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাড়ি ভাংচুর বা লুটের আলামত পাওয়া যায়নি। তার ঘরের ভেতরে একটি ভাঙ্গা পুরানো খাট পড়ে আছ,খুবই জরাজীর্ণ। কিছু বই ছিল,তা অন্নত্র সংরক্ষণ করে রাখা । আমরা কবির ঘরটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি অনেক আগেই। ঘরের চাবিটা আমাদের কাছে গচ্ছিত আছে।