আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু,টাঙ্গাইলঃ
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তারুটিয়া থেকে দেওলা রাস্তা সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা হয়ে পড়েছে সড়কের। যার ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যানবাহন সহ হাজারও মানুষের। সদর উপজেলার তারুটিয়া থেকে পয়লা, আউলটিয়া,গোলাবাড়ি,ঘারিন্দা ইউনিয়ন’সহ বিভিন্ন হাট বাজারে যাওয়ার জন্য এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন পথচারী,শিক্ষার্থী, রোগীসহ কয়েকটি গ্রাম ও পাশ্ববর্তী এলাকার হাজারও মানুষ যাতায়াত করেন।
সংস্কারের অভাবে সড়কের দুইপাশে বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য ভাংগা খানা-খন্দে যেমন যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে তেমনি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষদের।
স্থানীয়রা জানান,বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ এই রাস্তার সংস্কার করা হবে বলে আশ্বাস দিলেও সে আশ্বাস বাস্তবায়ন হয়নি।বুধবার(২৩ অক্টোবর)সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কয়েকটি সড়কের মধ্যে ঘারিন্দা ইউনিয়ন ও পাঁচ এলাকার জন্য একটি অন্যতম সংযোগ সড়ক এটি। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটির দুইপাশেই বিভিন্ন ভাংগা খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গার পিচ উঠে মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগারে পরিনিত হয়েছে।প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, ট্রাক এবং হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছেন।
এরইমধ্যে বৃষ্টিতে রাস্তার বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। ভাঙা সরু রাস্তায় যানবাহন ভালোভাবে চলতে না পারায় ঘটতে পাড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে যানবাহনও। তারুটিয়া পয়লা আউলটিয়া ঘারিন্দা সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা ও স্থানীয়দের অভিযোগ,সড়কটি নির্মাণের সময়ই নিম্নমানের সামগ্রি দিয়ে কাজ করা হয়েছিল। ট্রাক ও ট্রাক্টর বিভিন্ন ভারী বস্তু নিয়ে চলাচল করার কারণে রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় ভাঙ্গতে শুরু করেছে ও খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার সচেতন নাগরিকরা জানান, আশপাশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এবং রোগীরা এ ভাঙা রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে অটোভ্যান রিকশা করে এই রাস্তায় যাতায়াত করে। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় হাসপাতালের রোগীদেরও। রাস্তার বেহাল দশা হওয়ায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলে তাড়াতাড়ি মিলে না যানবাহন। অতিদ্রুত এই রাস্তার কাজ শুরু করার আহ্বান জানান তারা। এলাকাবাসী সাংবাদিকদের বলেন, সড়কটি দিয়ে গাড়ি ও মানুষের চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানাই।