মো আমিরুল ইসলাম পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দানাগছ এবতেদায়ী মাদ্রাসার জমি পুনরুদ্ধারে এলাকাবাসী একাট্টা হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে
লিখিত দিয়েছে।সম্প্রতি মইজুল ইসলামসহ আরো ৪০ জন এলাকাবাসী স্বাক্ষর করে এ অভিযোগ দেন।মাদ্রাসার নামে দানকৃত জমি বিবাদীদের কাজ থেকে পুনরুদ্ধারসহ মাদ্রাসাটির পূনঃগঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
অভিযোগে বলা হয়েছে,১৯৯০ সালে দানাগছ এবতেদায়ী মাদ্রাসাটির নামে আব্দুল আজিজ ৩৪৮৪ নং দলিলমুলে ১৮ শতক এবং পঞ্চগড় জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ইয়াছিনুল হক দুলালের দাদা আজিজুল হক ৩৪৮৩ দলিলে ৮ শতক দানপত্র দলিলমুলে হস্তান্তর করা হয়।পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় টিনের দো-চালা ঘর নির্মান করে দীর্ঘদিন যাবত ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বীনি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।দাতা নিহতের পর অ্যাডভোকেট ইয়াছিনুল হক দুলালের ভাই ও চাচাত ভাই আব্দুর রহমান,আব্দুস সালাম ও আব্দুস সাত্তার, মোঃ আলীম,দানাগছ এবতেদায়ী মাদরাসার স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং মাদরাসার অবকাঠামোসহ টিউবওয়েল, বাচ্চাদের পড়ার টেবিল এবং অন্যান্য আসবাবপত্র সহ প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে এবং প্রতিষ্ঠানঠির নামে থাকা ২৬ শতক জমি অবৈধ ও বেআইনী ভাবে দখল করে নেয়।পরে পুরাতন জামে মসজিদের বারান্দায় ইসলামী ফাউন্ডেশন মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালিত করছে।
সরেজমিনে সম্প্রতি জমিতে ভিটেমাটি ও চারপাশে কয়েকটি বড়বড় গাছ দেখা যায়।
স্থানীয় জয়নুল আবেদীন,মফিজ উদ্দিন,আবু তালেব, মুয়াজ্জিন আব্দুস সালামসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান,মাদরাসাটির কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য আইনজীবী তরিকুল ইসলামকে সভাপতি,মইনুল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক করে একটি মাদ্রাসা কমিটি গঠন করা হয়।পরে উপজেলা থেকে ২০০ কেজি চাল বরাদ্দ পায়।সেটা বিক্রি করে মসজিদে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাদ্রাসায় তবারক বিতরন করে,অতিরিক্ত
টাকা মাদরাসার হিসাব নম্বরে জমা রাখে।বিবাদীরা নাসির এর নাম ব্যবহার করে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করে,যে দানাগছে এবতেদায়ী কোন মাদ্রাসা নাই বা কোন সময় ছিলনা।মাদ্রাসার নাম ব্যবহার করে বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাত করেছেন সভাপতি সম্পাদক।পরে নাসির নামের মুল ব্যাক্তি জানতে পেরে পরবর্তীতে অভিযোগটি ভুয়া বলে তিনি লিখিত দেন জেলা প্রশাসক বরাবরে।
এ বিষয়ে আব্দুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।