মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মকর্তার (পিআইও) শূণ্যপদে বদলীকৃত কর্মকর্তা মো: দেলোয়ার হোসেনকে ১০মাসেও দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এ পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন বাউফলের পিআইও রাজিব বিশ্বাস। অভিযোগ ওঠেছে, জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথের সাথে অধিক ঘনিষ্টতার সুবাদে রাজিব বিশ্বাস যোগদানকারী নতুন পিআইও দেলোয়ার হোসেনকে চার্জ হস্তান্তরে গরিমশি করছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত পিআইও মো: দেলোয়ার হোসেনকে গতবছরের ২৬অক্টোবর পটুয়াখালীর দুমকিতে বদলির আদেশ দেয় প্রশাসন।
উপ-পরিচালক (প্রশাসন-১) উপ সচিব মোহাম্মদ শফিউর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে পরবর্তি পুণরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রধান কার্যালয় থেকে মো: দেলোয়ার হোসেনকে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পদে বদলির আদেশ দেন। ওই বদলির আদেশ বলে প্রধান কার্যালয় থেকে রিলিজ সাপেক্ষে তিনি গতবছরের ১৫ডিসেম্বর পটুয়াখালীতে এসে জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা সুমন দেবনাথের দপ্তরে হাজির হয়ে যোগদান পত্র দাখিল করেছেন। ওইদিনই তিনি (দেলেয়ার হোসেন) তার নূতন কর্মস্থল দুমকিতে গেলেও তাকে চার্জ দেয়া হয়নি। নানা অযুহাতে দীর্ঘ ১০মাস যাবৎ ঝুলে আছেন তিনি। অপর দিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অবমুক্ত না করায় পূর্ববৎ দায়িত্ব পালন করে আসছেন রাজিব বিশ্বাস ।
অভিযোগ ওঠেছে, অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পিআইও রাজিব বিশ্বাসের সময়কালে (২০২০-২০২১ অর্থ বছর) অন্তত: ৩০/৩৫টি অস্তিত্বহীন প্রকল্প বিলের প্রায় কোটি টাকার ঘাপলাসহ লুটপাট হয়েছে। ওইসব লুটপাটের তথ্য ফাঁস ঠেকাতেই বদলি হয়ে আসা পিআইও দেলোয়ার হোসেনকে চার্জ হস্তান্তর না করার অন্যতম কারণ। অভিযোগ অস্বীকার করে পিআইও রাজিব বিশ্বাস বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অফিস আদেশে তিনি দুমকি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্মার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি পত্র দেয়া হলে অবশ্যই চার্জ বুঝিয়ে দেয়া হবে। কোটি টাকা ঘাপলার অভিযোগও সঠিক নয় বলেও দাবি করেন।
নূতন পিআইও মো: দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জেলা কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ তার যোগদান পত্র গ্রহণ করলেও ওই পদের দায়িত্বরত পিআইও রাজিব বিশ্বাসকে অবমুক্ত না করে একই পদে তার যোগদান পত্র গ্রহণের পর চার্জ হস্তান্তরের জটিলতা সৃষ্টি করেছেন। চার্জ পেতে বার বার জেলা কর্মকর্তা সুমন দেনাথের স্মরণাপন্ন হলেও নানা অযুহাতে সময় ক্ষেপন করে জটিলতার সৃষ্টি করেছেন। বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলেও জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বদলির আদেশ অনুযায়ী দেলোয়ার হোসেন‘র যোগদান পত্র গ্রহণ করা হয়েছে। যোগদানের পর থেকে দেলোয়ার হোসেন একদিনের জন্যও কর্মস্থলে যায়নি। তাকে শো‘কজ করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শনার আলোকে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে রাজিব বিশ্বাসকে কেন অবমুক্ত করা হয়নি, এমন প্রশ্নের তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।