বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
দুর্নীতি সহ নানান অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে বাধ্যতামূলক অবসরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক। খুলনা পুলিশ লাইনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার তথ্যসূত্রে জানাযায় কেএমপি কমিশনার মাসে অবৈধভাবে কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ইনকাম সহ নানান দূর্নীতির সাথে তিনি সম্পৃক্ত । এবং তিনি বিগত হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে এবং তানার নিজের পদ মর্যাদা ধরে রাখার লিপ্সায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলমান অবস্থায় সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মুখে অধিক প্রশাসনিক বল প্রয়োগ করলে সেখানে ছাত্রদের রোষের মুখে পুলিশ কর্মকর্তা সুমন সানাকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয় এ বিষয়েও মৃত্যু
সুমনের পরিবার থেকে অভিযোগ তুলেছে মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে কারণ ওই সময় এস আই সুমনের ডিউটি না থাকা সত্ত্বেও কেএমপি কমিশনার বারবার ফোন করে এক পর্যায় জোর করে তাকে সেখানে পাঠানো হয় বিধায় তার এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে তাছাড়া খুলনা আওয়ামী লীগের প্রথম সারির বেশ কিছু নেতাদের সাথে ছিল তার দহরম মহরম সম্পর্ক । অপরদিকে সাথে উচ্চপর্যায়ের আরো দুই কর্মকর্তাকে একই কায়দায় অবসরে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।
বিজ্ঞাপন
জ্যেষ্ঠ সচিবের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ -১ শাখা থেকে জারি করা পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় আইনগত তিনটি প্রজ্ঞাপনের ভাষা একই রকম অতএব প্রজ্ঞাপনে বলা হয় সরকারি চাকরি আইন এর ২০১৮-এর (২০১৮) সালের ৫৭ নম্বর আইন ৪৫ ধারা বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে তিন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কৃষ্ণপদ রায়, খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার উপমহ পরিদর্শক (পদমর্যাদা) মোঃ মোজাম্মেল হক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অতিরিক্ত উপমহা পরিদর্শক সরদার রকিবুল ইসলামকে অবসর দেওয়া হলো বিধায় নির্দেশিত প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে অবসরে যাওয়া তিনজনই অবসরজনিত ভাতা প্রাপ্য হবেন। উল্লেখ্য ছাত্র জনতা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২২ আগস্ট পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোঃ আলী মিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোঃ মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ সদর দপ্তরের মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) জয়দেব কুমার ভদ্রকে অবসরে পাঠানো হয়। সূত্রে আরও জানাজায় ১৩ আগস্ট পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে মোহাম্মদ আলী মিয়াকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছিল। ২১ আগস্ট পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোঃ আতিকুল ইসলাম সদর দপ্তরের উপ মহাপরিদর্শক( অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক সুপারনিউমারারি)মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামানকে
(উপ-মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার) অবসরে পাঠানো হয়।এর আগে ১৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আরেক প্রজ্ঞাপনে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এসবি- বিশেষ শাখা) মনিরুল ইসলামকে এস বি থেকে পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছিল। একই সাথে হাবিবুর রহমানকে সাত আগস্ট ডিএমপি কমিশনারের পর থেকে বদলি করে পুলিশ অধিদপ্তর সংযুক্ত করা হয়েছিল। এবং ওইদিনই তাদের দুজনকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হয়। এখানে উল্লেখ রয়েছে যে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই দুপুরের রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ( ২২) তিনি ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আর এই সময় দায়িত্বে থাকা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান এবং পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক মোঃ আব্দুর বাতেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। ১৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দিয়েছিল।
