মোঃ নূরুল ইসলাম, দৌলতপুর, মানিকগঞ্জ, প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর-কলিয়া সড়কের জিসি রাস্তা প্রসস্থ করণ ও শক্তিশালীকরণ চলমান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাগেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র অর্থায়নে ১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা প্রসস্থ করুন ও শক্তিশালী করন প্রকল্পের আওতায় দৌলতপুর কলিয়া জিসি রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছে। মেসার্স জাহিদ এন্ড ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
রাস্তাটির নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার দুই পাশে ২৩ ইঞ্চি বক্স কাটিং করে প্রথম স্তরে ১০ ইঞ্চি বালু দ্বিতীয় স্তরে ৬ ইঞ্চি সাববেজ তৃতীয় স্তরে ৬ ইঞ্চি শুধু পিকেট খোয়া এবং উপরের স্তরে ৪০ মিলি মিটার পুরু করে কার্পেটিং করার কথা থাকলেও তা না করে অত্যান্ত নিম্নমানের ইট খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। বালুর পরিবর্তে কাদামাটি দিয়ে তার ওপর নিম্নমানের পুরোনো ইটের খোয়া ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিম্নমানের ইটের ভাঙা অংশ ডাস্ট দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। পুরোনো সড়কের পিচ না উঠিয়েই তার উপরই নতুন কাজ করা হচ্ছে। এতেও নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। রাস্তার কাজে স্থানীয় সরকার প্রকৗশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাউকে এসে তদারকি করতে দেখা যায়নি।
এছাড়াও রাস্তার দুই পাশে কোন প্রকার ফুটপাত বা সোল্ডার দেখা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দৌলতপুর উপজেলা এলজিইডির কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এই কাজের অনিয়মের সাথে জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সরাসরি জড়িত আছেন।
রাস্তার দুই পাশে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই রাস্তার কাজ তদারকিতে দৌলতপুর উপজেলার এলজিডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি রয়েছে। রাস্তার পাশে বসবাসকারী চকমিরপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শাজাহান জানান, যেভাবে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করছে তাতে খুব অল্প দিনেই রাস্তা ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যাবে এবং সরকারের ব্যাপক পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি সাধিত হবে। দৌলতপুর উপজেলা সদর চকমিরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহিদুর রহমান মুক্তা জানান, যেভাবে রাস্তার কাজ হচ্ছে তাতে অল্প দিনেই এই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত হবে।
নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের কারণে এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার কাজে বাধা দিলেও কোন প্রকার তোয়াক্ক না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন চাঁদাবাজির মামলা মোকদ্দমা সহ পুলিশি ভয় দেখিয়ে কাজ করেই যাচ্ছে।
রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা রাস্তার কি বুঝেন রাস্তার কাজ ভালো হচ্ছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইরাজ উদ্দিন দেওয়ান বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কাজে অনিয়ম হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপর দিকে মানিকগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল হকের
সাথে রাস্তার কাজের অনিয়মের বিষয়ে কথা বললে তিনি কাজ মোটামুটি ভালো হচ্ছে জানিয়ে অফিসে মিষ্টি খাওয়ার দাওয়াত দেন।