জিয়া চৌধুরী (খুলনা জেলা প্রতিনিধি)
খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের দেয়ানা উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাকসুদুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও প্রাক্তন ছাত্র মঞ্জুর আহসান শিপলুর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার (১৩ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় দেয়ানা উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের তদন্তের কার্যক্রম শুরু করেন।
এ সময় অভিযোগকারী মঞ্জুর আহসান শিপুল অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সকল প্রমানাদী ও যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন। একই সাথে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির সঠিক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জারালো দাবি জানান অভিযোগকারীসহ সচেতন এলাকাবাসী।
এসময় দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীর অভিভাবক রিয়া জানান, বিদ্যালয়ে পড়াশুনার মান খুব খারাপ। ম্যাডামরা ক্লাসে বসে ঠিক মতো ক্লাস নেয় না, মোবাইল চাপাচাপিতে ব্যস্ত থাকে। আমরা চাই বিদ্যালয়ে পড়াশুনার সঠিক পরিবেশ ফিরে আসুক। অপর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের বসার কোন সু ব্যবস্থা নাই। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাচ্চাদের জন্য এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাছাড়া বিদ্যালয়টিতে লেখাপড়ার মানও অনেক খারাপ হয়ে গেছে। শিক্ষার গুনগত মান ফিরে আসুক এটা আমরা চাই। ভালো না।
অভিযোগকারী মঞ্জুর আহসান শিপলু জানান, দেয়ানা উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দীর্ঘ দিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি একটি অভিযোগ দাখিল করি। সোমবার (১৩ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত টিম আসে এবং তদন্তের কার্যক্রম শুরু করে। আমি তদন্ত টিমের নিকট অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সকল প্রমানাদী ও যুক্তি উপস্থাপন করি। তদন্তপূর্বক প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চাই আমরা। বিদ্যালয়টির সার্বিক বিষয়ে সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসুক এমনটাই প্রত্যাশা করি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাকসুদুল হক জানান, আমার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও অনুমান নির্ভর। ওই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত সত্য-মিথ্যা বেরিয়ে আসবে। খুলনা থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহাজাহান জানান, প্রধান শিক্ষক মাকসুদুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে একটি একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে ছিলো । ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। আমরা (তদন্ত টিম) সোমবার (১৩ জানুয়ারী) সকাল ১১টা হতে সরেজমিনে সেই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছি, তদন্ত চলমান রয়েছে।