এম, মাসুদ রানা সুমন
নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের ৫ বারের নির্বাচিত এমপি আলহাজ্ব অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস মারা যাওয়ায় আসনটি শুন্য হয়।
গত বৃহস্পতিবার(৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম
আগামী ১১ অক্টোবর উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।
আর তখনই আনাগোনা শুরু হয়েছে কে হবেন নাটোর-০৪ এর উপনির্বাচনে নৌকার মাঝি।
গুরুদাসপুর- বড়াইগ্রাম আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা দলীয় প্রার্থী হিসেবে সদ্য প্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপির মেয়ে অ্যাডভোকেট কোহেলি কুদ্দুস মুক্তিকে দেখতে চান।
কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি শিক্ষাজীবনে রাজশাহী সরকারি পিএন স্কুল থেকে দ্বিতীয় বিভাগে এসএসসি ও রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন তিনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কর্ম বিষয়ে অনার্সসহ এমএসএস ডিগ্রি এবং পরবর্তীতে ঢাকা প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি লাভ করেন। রাজনীতির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি ঢাকা জজকোর্টে ওকালতি পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন। সেই সাথে ২০১৯-২০ সেশনে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’বিষয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং যুব মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
২০০৪ সালে যুব মহিলা লীগের কমিটির প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নাজমা আক্তারকে সভাপতি, অধ্যাপক অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। পরে ২০১৭ সালে যে কাউন্সিল হয় সেখানে মুক্তি সহসভাপতি নির্বাচিত হন। যুব মহিলা লীগ এর জন্ম লগ্ন থেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করে। পুলিশি নির্যাতন, জেল জুলুম, রাজপথে মিছিল মিটিং নিত্যকার বিষয় ছিল। ওয়ান ইলেভেনের সময় প্রধানমন্ত্রির মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে রাজপথে ছিল।
কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি কল্লোল ফাউন্ডেশন নামে একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং এলাকার বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখছেন।
গত ৩০ আগষ্ট সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কুদ্দুস এমপি মারা যান।
এছাড়াও নাটোর-০৪ এ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বনপাড়া পৌর মেয়র কে এম জাকির হোসেন, গুরুদাসপুর পৌর মেয়র শাহ নেওয়াজ মোল্লা ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আহাম্মদ আলী।