মোঃরইস উদ্দিন(রিপন)স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জঃ
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ও উৎসব মুখর পরিবেশে রবিবার বেলা ১১:৩০ টায় শহরের চাষাড়া রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে,সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজার মহাষ্টমীতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে কুমারী দেবীকে অঞ্জলি দেওয়ার মধ্যে দিয়ে পূজা অর্চনা শুরু হয়।দুর্গাপূজায় এবারের কুমারী সাজে সেজেছে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মিষ্টি চক্রবর্তী।তার বয়স মাত্র ৭ বছর।মিষ্টি চক্রবর্তী দেওভোগ এলাকার দীপঙ্কর চক্রবর্তী ও শম্পারানী চক্রবর্তীর মেয়ে।এবারের দুর্গাপূজায় কুমারী পূজা পরিচালনা করেন,রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একা নাথ নন্দ মহারাজ।শঙ্খের আওয়াজ ও ডাক ঢোল বাজিয়ে অঞ্জলি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কুমারী দেবীকে বরণ করেন সনাতন ধর্মের লোকজন।এরপর কুমারী দেবীর কাছে সবাই মনের কামনা বাসনা প্রার্থনা করেন।সনাতন ধর্ম অবলম্বীদের দুর্গা উৎসব মহা অষ্টমীতে দেবী বন্দনার পাশাপাশি আজ কুমারী পূজা উপলক্ষে চাষারা রামকৃষ্ণ মিশনে পূজারী ও দর্শনার্থীদের প্রচুর ঢল নামে।যাহা চোখে পড়ার মতো।হিন্দু শাস্ত্র মতে,কুমারী দেবীই মায়ের শান্তির আঁধার।পৃথিবীর সব কিছুই কুমারী দেবী মায়ের হাতে।তাই অষ্টমী তিথিতে কুমারী বালিকাকে পবিত্র মেনেই দেবীর আসনে বসিয়ে তাকে মাতৃরূপে পূজা করা হয়।ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী কুমারী দেবীকে ১৬ টি নামে ডাকা হয়।কিরে বাবা কুমারী পূজা সম্পর্কে মহারাজ বলেন,স্বামী বিবেকানন্দ শারদীয় দুর্গোৎসব থেকে এই কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুসারে শত বছর ধরে দেবীকে শিশু রূপে মায়ের আসনে পূজা করা হয়।আজকে কুমারী পূজায় উপস্থিত ছিলেন,দেও ভোগ নাগমহাশর মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারা পদ আচার্য সহ আগত ভক্তবৃন্দ ও কুমারী পূজার লোকজন।