পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ডাহুক নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহনের সংগে জড়িত ৬টি ট্রাক্টর ট্রলি জব্দ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশকে সংগে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলে রাব্বি সরকারি খাস জলমহাল ডাহুক নদীতে অবৈধভাবে পাথর বালু উত্তোলণ ও পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহনে বিরুদ্ধে এক অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পাথর ও বালু পরিবহনের কাজে নিয়োজিত নদী গর্ভে অবস্থানকৃত ৬ টি ট্রাক্টর টলি জব্দ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিয়ে আসেন।
জানা যায় ভারতের সেবক পর্বত থেকে প্রবাহিত হয়ে রওশনপুর তুলশিয়া বিলের পাশ দিয়ে ডাহুক নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তেঁতুলিয়া উপজেলার ৪নং শালবাহান ও ৫নং বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষা ছোট নদীটি বাংলাদেশের প্রায় ১০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করেছে। সরকারি খাস জমি ও জলমহাল অন্তর্ভূক্ত ডাহুক নদীর গর্ভে অবৈধভাবে একটি চক্র মাটি ও বালুর স্লাব (গর্ত) করে পাথর ও বালি উত্তোলন করে নদীর গতিপথ পরিবর্তনসহ আশপাশের ফসলি জমি ও চা বাগানের ক্ষতিসাধন করছে। ইতোপুর্বে উক্ত নদীতে অসাধু পাথর-বালু ব্যবসায়ী চক্রটি রাতের আঁধারে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর করায় নদীর অনেকাংশে ছোট বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এসব গর্তের কারণে নদীর দুপাশে ফসলি জমি ও চা বাগান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এনিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আশপাশের কারখানা/কোম্পানী, চা বাগান ও জমির মালিক রক্ষার জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ বিচারিক আদালতের রায়ের নির্দেশে তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে শতাধিক ড্রেজার মেশিন জব্দ করেন এবং পাথর ও বালু উত্তোলণ বন্ধ হয়। এরপরও পাথর ও বালু খেকো চক্রটি কিছু রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অংকের টাকা লেন-দেনের মাধ্যমে গোপনে ডাহুক-নদীতে পাথর-বালু উত্তোলণ করে আসছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোপন সোর্সের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বি বলেন, সরকারি খাস জলমহাল ডাহুক নদীতে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলণ এবং পরিবহনের সময় নদীতে অবস্থানকৃত ৬টি ট্রাক্টর ট্রলি জব্দ করা হয়েছে এবং জব্দকৃত ট্রাক্টর টলিগুলোর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।