মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টারঃ
চলতি বছরের পবিএ রমজানে বাংলাদেশে ফিতরার হার নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি-সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা। গত বছর-২০২৩ইং সর্বোচ্চ ফিতরা ছিলো-২ হাজার ৬৪০ টাকা,তবে সর্বনিম্ন ফিতরা ছিলো-১১৫ টাকাই।বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় ১৪৪৫ হিজরী সনের সাদাকাতুল ফিতরের(ফিতরা)এই হার নির্ধারণ করা হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমগন উপস্থিত ছিলেন।বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের ফিতরার হার জানান।সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে-ইসলামী শরীয়াহ মতে মুসলমানেরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা,খেজুর,কিসমিস,পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরীবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন।গম ও আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম(অর্ধ সা’)। খেজুর,কিসমিস,পনির ও যবের ক্ষেত্রে-৩ কেজি ৩০০ গ্রামের(এক সা’)মাধ্যমে সাদকাতুল ফিতরা আদায় করতে হয়।হাফেজ মুফতি মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন জানান-উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম(অর্ধ সা’) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।যবের ক্ষেত্রে (এক সা’) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
এছাড়া ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৪৭৫ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে বলে জানান কমিটির সভাপতি।ফিতরার পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে।সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে বলেও জানান মাওলানা রুহুল আমিন।তিনি আরো বলেন- ‘আল্লাহ যাদের সামর্থ্য দিয়েছেন সামর্থ্যবানরা যদি অতিরিক্ত বা এটার মধ্যে যেটার দাম বেশি সেটা দিয়ে ফিতরা আদায় করে তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় হবেন।এটা তার জন্যে কল্যাণকর হবে।’নেছাব পরিমাণ(সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ)মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের উপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়।চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী-১০ অথবা ১১ই এপ্রিল মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।