বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
একেতো খুলনার মানুষ সরকারী পাইপ লাইনের গ্যাসর সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারপর আবার মরার উপর খড়ার ঘা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে এলপিজি তরলকৃত বোতল গ্যাসের দাম সাথে রয়েছে স্থানীয় খুচরা বিক্রেতা ও ডিলারদের কারসাজি
এ লক্ষ্যে খুলনার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা উল্লেখযোগ্য ভাবে গত সাত মাসের ব্যবধানে এলপিজি তরল যাতকৃত বোতল গ্যাসে পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় না রেখে গ্যাস বিক্রেতা সংস্থারটির ঊর্ধ্বতন কর্তাদের নেতিবাচক সিদ্ধান্তে ৪৭৫ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিইআরসি সংস্থাটির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন
সাধারন মানুষের জীবনের ওপর স্টিমরোলার চালিয়ে নজির বিহীন ইতিহাস সৃষ্টি করল টানা সাত মাসে তরলকৃত এলপিজি বোতল জাত গ্যসে ৪৭৫ টাকা দাম বাড়িয়ে দেশের বিইআরসি সংস্থা।
আর এতে সরকারের প্রতি ভোক্তাদের মাঝে জন্ম নিচ্ছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও তীব্র ক্ষোভ।
প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীসহ সকল সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি সরকারের।
আবার প্রতিনিয়তই দাম বৃদ্ধির মহাযজ্ঞ চালিয়ে শক্ত অবস্থানে থেকে অনর সিদ্ধান্তে সিন্ডিকেট আমলাতান্ত্রিক ব্যবসায়ীরা।
ফলে ব্যবসায়ীদের যথেচ্ছাচার নৈতিকস্খলনের সরকার যতই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সহ পার্লামেন্টের সকল সদস্যদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা আর হুমকি ধামকী যত যা-ই দেওয়া হচ্ছে না কেন এ যেন ভাল্লুকের সুড়সুড়ির শামিল হয়েছে সিন্ডিকেট আমলাদের ক্ষেত্রে।
তা না হলে দেশে নিজস্ব গ্যাস খনি, পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও
ওই সংস্থাটি বিভিন্ন অজুহাতে সরকারের কান ভাঙানি দিয়ে সাধারণ ভোক্তাদের রক্ত শোষণ করছে।
আর এক্ষেত্রে ও সরকার সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কোন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে দেশের সাধারণ ভোক্তাদের মৌলিক চাহিদার জায়গাটা থেকে যাচ্ছে অতি দুর্বল নাজুক অবস্থানে।
দেশের সাধারণ মানুষের কথা সরকার যদি একটু ও বিবেচনা করত সেক্ষেত্রে এমন নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটতো না ব্যবসায়ীদের দিক থেকে। দেশের সাধারণ মানুষ সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে আরো বলছে শিয়ালের আঙ্গুর ফলের স্বাদ গ্রহণের ন্যায় সাধারণ মানুষদের প্রলোভন স্বরূপ গেল সপ্তাহের শেষ নাগাদ সরকার তার মন্ত্রী পরিষদসহ গণমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গদের সামনে জোরালো ভাবে বলেছিল চাউল, চিনি, তেলসহ বেশ কিছু পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে।
এবং ওই সিদ্ধান্ত ১ ফেব্রুয়ারি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলে ও ধার্যকৃত ঘোষণার সময় এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা নড়ে চড়ে বসে সাথে সাথে সকল পণ্যের ওপরে বর্ধিত দাম হাকাতে একটুও দ্বিধাবোধ করেনি।
আর এতে করে আমাদের মনে হচ্ছে সকল ক্ষেত্রে চলছে যেন রাম রাজত্বের লীলাখেলা যে যেমন পারছে সর্বক্ষেত্রে তাদের খেয়ালখুশিমত ব্যবসা পরিচালনা করছে সে হোক সবজি ব্যবসায়ী আর হোক স্বর্ণের ব্যবসায়ী সকলেই সরকারকে উপেক্ষা করে দেখাচ্ছে তেলেসমাতি।
এদিকে খুলনা উন্নয়ন সমন্বয়ে সংস্থার দায়িত্বরত উর্ধ্বতনকর্তা মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন দেশের সকল ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে যেন চলছে এক অরাজকতা কারণ দেশে ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়ছে দ্রব্যমূল্য সকালে যে পণ্য কিনতে হচ্ছে ২৩ টাকায় সন্ধ্যায় ৩৩ টাকা।
আর এক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং অভিযানের জন্য সরকারের ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত কোন না কোন বাজারে অভিযান অব্যাহত রাখলেও অধিদপ্তরের অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে যেতে না যেতে পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসছে চতুর ব্যবসায়ীরা ।
তিনি আরো বলেন সাধারন মানুষের সর্বক্ষেত্রে একটাই চাহিদা থাকে যে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনো রকম দুই বেলা দুমুঠো ডাল ভাত খেয়ে পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে তাদের একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছিয়ে দেওয়া এবং ছোটখাটো একটি আবাসস্থান তৈরি করে সেখানে মাথা গোজার ঠাই তৈরি করা আর সাধারণ মানুষদের এটাই তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
তবে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে উন্নয়ন অগ্র যাত্রা যতই তুরাম্বিত হোক না কেন সাধারণ মানুষের পেটে যদি অনাহারের খোদা যন্ত্রনা থাকে সে ক্ষেত্রে কোন উন্নয়নের কথাই তাদের মনে থাকবে না।
অতএব সরকারের নির্বাচনের পূর্বে ইশতেহারে সাধারণ মানুষদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি হিসেবে একেবারে মৌলিক দিকটা বিবেচনায় রাখা একান্তই বর্তমান সরকারের নৈতিক দায়িত্ব এবং চ্যালেঞ্জ বলে আমি মনে করছি।
কারণ দেশের প্রতিটি মানুষ এখন ক্ষুধা-দরিদ্রতায় কাতর হয়ে ভুক্তভোগী অতএব তারা এখন অতি সচেতন।