স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া
৩০/০৯/২০২৫ ইং দুপুর অনুমান ১৩.৩০ ঘটিকার সময় বগুড়া জেলার কাহালু থানাধীন মালঞ্চা ইউনিয়নের অর্ন্তগত মাগুড়া পশ্চিমপাড়া এলাকাস্থ একটি পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা যুবদল নেতা রাহুলকে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় আসামি গ্রেফতারের লক্ষ্যে বগুড়া ডিবি কাজ শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা গোয়েন্দা শাখা, বগুড়া’র অফিসার ইনচার্জ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ রাকিব হোসেন এর নেতৃত্বে ডিবি বগুড়ার একটি চৌকশ টিম তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৩০/০৯/২০২৫ ইং রাত্রী অনুমান ২৩.৩০ ঘটিকার সময় বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন গাড়িদহ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বগুড়া পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী অভিযুক্ত আসামী-
১। মোঃ জামিল হোসেন (৪৫), পিতা-মৃত আব্দুল মজিদ, মাতা-মোছাঃ জীবনন্নেছা, সাং-পাল্লাপাড়া, থানা-কাহালু, জেলা-বগুড়াকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী জানায় যে, দীর্ঘদিন যাবত পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে ডিসিসড রাহুল ও তার চাচা সালাম এর সহিত তার বিরোধ চলে আসিতেছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় ৩০/০৯/২০২৫ ইং দুপুর অনুমান ১৩.২৫ ঘটিকার সময় ডিসিসড রাহুল বরশি দিয়ে আসামী জামিল এর লিজকৃত পুকুরে মাছ ধরতে গেলে আসামী জামিল তার ১০/১২ জন সহযোগী মিলে ডিসিসড রাহুলকে মাছ ধরতে বাঁধা প্রদান করিলে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির সৃষ্টি হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আসামী জামিল ও তার সহযোগী আসামীরা তাদের নিকট থাকা ছুরি দ্বারা ডিসিসড রাহুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ডিসিসড রাহুলের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল হইতে পালিয়ে যায়।
ধৃত আসামী মোঃ জামিল এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বিজ্ঞ আদালতে ০৩টি মামলা বিচারাধীন আছে। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।