আব্দুল গাফ্ফার
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে পঞ্চমদফা অবরোধের প্রথমদিনে আওয়ামীলীগ-বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হোসেন আলী বাদি হয়ে বিস্ফোরক ও সরকারি কাজে বাধাপ্রদানের অভিযোগ এনে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, তাঁর পুত্র আসিফ সিরাজ রব্বানী, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুল আলম তোতা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টুসহ ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরো অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেরপুর টাউন পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সুফিয়ান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে এই ঘটনায় জড়িত বিএনপি-স্বেচ্ছাসবকদলের নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক শাহ কাওছার কলিন্স, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল, রায়হান কামাল রুপক ও নয়ন মিয়া সুমন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে অবরোধের সমর্থনে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন শেরপুর-ধুনট আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। একপর্যায়ে মিছিলটি শহরের হাসপাতাল রোড খেজুরতলা নামক স্থানে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহাসহ পাঁচজন আহত হন। সেইসঙ্গে সাধারণ জনগণের জান-মালের ক্ষতি সাধন করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানতে চাইল শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির অবরোধের সমর্থনে বের হওয়া মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়ায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে দাবি করেন।