মিলন হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া –
বগুড়া শহরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় রোকসানা আক্তার (৩৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
নিহত রোকসানা আক্তার বগুড়া সারিয়াকান্দি মথুরাপাড়া গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী।
এই ঘটনায় দায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন রোগির স্বজনেরা। পুলিশ বলছে, অভিযোগ তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে রোগির ভাই একমাত্র বোনকে হারিয়ে কান্নার আহাজারি থামছেই না সেনা সদস্য শাফিউল ইসলামের।
জানা যায়, সন্তান প্রসবের ব্যাথা উঠলে শনিবার (১ মার্চ ) বেলা ১১ টায় রোকসানা আক্তারকে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার এনাম ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়া হয়৷ রোকসানার অবস্থা অবনতির দিকে যাওয়ার পরও কোন চিকিৎসক দেখতে আসেনি ৷ কর্তব্যরত নার্সেরা কয়েকবার রোকসানার শরীরে বেদনা নাশক ইনজেকশন দিয়ে পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করে রাখেন।
প্রায় ১২ ঘণ্টা পর রাত ১১ টার দিকে রোগীর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক উম্মে ছালমা জান্নাতী হাসপাতালে এসে রোকসানার অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে, স্বজনেরা তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গর্ভের সন্তানসহ রোকসানাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিক্ষুব্ধ হয়ে নিহতের স্বজনেরা বেসরকারি ওই হাসপাতাল টির ফটকে ভাংচুর চালায়। এর আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক সেখান থেকে পালিয়ে যান।
তবে, এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।