মিলন হোসেন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি-
বগুড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় তিনজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সোমবার ২ সেপ্টেম্বর শেরপুর উপজেলার শুভলি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
চাদাবাজি করতে যাওয়া আটককৃতরা হলেন,
দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার শেরপুর প্রতিনিধি পরিচয় দেওয়া রায়হান কমল,
স্বাধীন বাংলা নিউজ অনলাইন পত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি পরিচয়ে মুক্তার শেখ ও বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম।
কথিত ওই তিন সাংবাদিক এবং দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি পরিচয়ে মাসুদ পারভেজ শুভলি উচ্চ বিদ্যালয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ওই স্কুলের গাছ কাটা নিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিউজ করার হুমকি দেন।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা স্কুলে যায়। স্থানীয়দের কয়েকজন তাদের চিনতে পারেন এবং জানতে পারেন, তারা শেরপুরের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করেছেন। এ সময় তারা ওই কথিত সাংবাদিকদের গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে এবং পরবর্তীতে শেরপুরের কথিত সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক, সেতু তাদের সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে উত্তেজিত লোকজন আবু বক্করকে গণধোলাই দেয়। এ সময় সেতু ও মাসুদ পালিয়ে পায়। পরে ওই তিনজন কে জনগণ পুলিশে দেয়।
এদিকে, শুভলি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা খাতুন বলেন, ‘আমি গতকাল কেন স্কুলে অনুপস্থিত ছিলাম এবং ২ বছর পূর্বে স্কুলের পেছন থেকে কাটা গাছের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করছিলেন। এক পর্যায়ে তারা আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।’
এ বিষয়ে বগুড়া শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, গত ৪/৫ দিন ধরে তারা শেরপুরে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আগে থেকে তাদের ধরতে প্রস্তুত ছিলেন। আজকে ওই স্কুলে এসে চাঁদা দাবি করলে বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। পরে তাদের গণপিটুনি দিয়ে আটকে রাখে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য,
এই কথিত সাংবাদিক দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পূর্বেও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে বলে জানা গেছে।