আব্দুল গাফফার শেরপুর( বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সাবেক এমপি আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নির্বাচনী প্রচারণার গাড়ি বহরে হামলা-ভাঙচুরের মামলায় আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৫ডিসেম্বর) দুপুরে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার (১৪ডিসেম্বর) রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও একই ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান টিটু (৩৫), মির্জাপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি স্থানীয় মাথাইল চাপড় গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৯) এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মির্জাপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক একই ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৩)।মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৮সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনিত ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। তিনি বিগত ২৪ডিসেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে বের হন। একপর্যায়ে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী বটতলা নামক স্থানে মামলায় অভিযুক্তরা অস্ত্রসস্ত্রে সর্জিত হয়ে বিএনপির ওই প্রার্থীর প্রচারণার গাড়িবহরে হামলা চালায়। এসময় বেশকয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। সেইসঙ্গে ধারালো রাম-দা দিয়ে একটি জিপ গাড়ি ও দুইটি মাইক্রোবাসে কুপিয়ে ভাঙচুর চালান। পাশাপাশি নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেন আ.লীগের সন্ত্রাসীরা। পরে ছয়টি মোটরসাইকেলেও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, এই ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যারা ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার জড়িতরা কেউ ছাড় পাবে না। তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।