আব্দুল গাফ্ফার
শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপিসহ সমমনা দলের ডাকা টানা ৪৮ঘন্টা হরতালের শেষমুর্হুতে পেট্রোল ঢেলে মালবাহী দুইটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২০নভেম্বর) দিনগত রাত অনুমান এগারোটার দিকে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের দশমাইল নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা নাদির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মহাসড়কে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দুইটি ট্রাকের চালকের কেবিন পুড়ে গেছে। এরমধ্যে একটি ট্রাক জয়পুরহাট থেকে কলা নিয়ে সিলেটে যাচ্ছিল। অন্য ট্রাকটি বগুড়ার কাহালু থেকে টাইলসের মাটি নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। খবর পেয়েই তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে টাইলসের মাটিবোঝাই ট্রাকটির কেবিনের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। আর কলাবোঝাই ট্রাকের চালকের কেবিন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত টাইলসের মাটিবোঝাই ট্রাকের চালক আসলাম ফকির জানান, ঘটনার রাত এগারোটার দিকে তিনি তার ট্রাকটি নিয়ে শেরপুর উপজেলার দশমাইল নামক স্থানে পৌঁছালে মুখোশধারী বেশকয়েকজন ব্যক্তি মহাসড়কের ওপরে উঠে আসে। এসময় তিনি গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এরপর মুখোশধারীদের নির্দেশমতো তাকে এবং তার সহকারীকে ট্রাক থেকে নামানো হয়। এরপর মুখোশধারীরা তার ট্রাকের চালকের কেবিনে বোতল থেকে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। একইভাবে তার পেছনে আসা সিলেটগামী কলাবোঝাই ট্রাকেও আগুন ধরিয়ে দেয় মুখোশধারীরা। তিনি আরো বলেন, তার পেছনে আরো আন্তত ২০-২৫টি ট্রাক ছিল। সবাই একসঙ্গে লাইন ধরে যাচ্ছিলেন। তার ট্রাকটি ছিল সবার সামনে। মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা তাঁর গাড়ি ও তাঁর পরের কলার গাড়িতে যখন আগুন দেয়, এরপর বহরে থাকা অন্য গাড়িগুলো দ্রুত ঘুরিয়ে বগুড়ার দিকে চলে যায়। দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনের কারণে তাঁর কেবিনে থাকা ছয় হাজার টাকা ও গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পূর্ণ পড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের কারো রেহাই নেই। সবাইকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কাজ করছে। এছাড়া ওই ঘটনায় অংশ নেওয়া মুখোশধারী ব্যক্তি কারা, তা নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অচিরেই তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।