আব্দুল গাফ্ফার
শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কামাল উদ্দিন নামের এক ক্ষুদ্র কাঁচামাল ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার (০৯নভেম্বর) বিকেলে শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ শেরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হাই (হাইজ) নামে এক ব্যক্তিকে প্রতারক-মামলাবাজ ও ভূমিদস্যু আখ্যায়িত করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।
লিখিত বক্তৃতায় উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আয়রা গ্রামের ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হাই (হাইজ) একজন প্রতারক-মামলাবাজ। তার ফুফাতো ভাই আব্দুল মোমিন পৈর্তৃকসূত্রে প্রাপ্ত জমি বিক্রি করেন। আমি তার নিকট থেকে সেই সাড়ে ছয় শতক জমি কিনেছি। ওই কোবলা রেজিস্ট্রি দলিলে আব্দুল হাই (হাইজ) ও তার দুই বোন স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি আব্দুল হাই তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বসেন। অন্যথায় বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে হুমকি দেয়। সেইসঙ্গে আমার নিকট থেকে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া স্ট্যাম্প তার নিকটে রয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে। বিষয়টি তার কাছে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দেননি। একপর্যায়ে তার দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার কেনা জমি বেদখল দেওয়ার পাঁয়তারা চালায়। এমনকি নিজ দখলীয় উক্ত জমি বেদখল দেওয়ার পাশাপাশি আমার বিরুদ্ধে বগুড়া জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
কামাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, জেলার স্ট্যাম্প ভ্যান্ডারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, আমার স্বাক্ষর করা যে ট্যাম্প দিয়ে মামলা করেছেন আসলে সেই স্ট্যাম্প জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরী করা হয়েছে। শুধুমাত্র হয়রানি করতেই আমার বিরুদ্ধে ওই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ইতিপূর্বেও মামলাবাজ আব্দুল হাই (হাইজ) তার ফুফাতো ভাই আব্দুল মোমিনসহ গ্রামের একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। সেইসঙ্গে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি চাই। পাশাপাশি ক্রয়কৃত জমির দখল চান তিনি।বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল হাই হাইজ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তার বিরুদ্ধে অনীতি সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেন তিনি।