আব্দুল গাফফার
শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে জায়গা বিক্রির নামে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ, প্রাণ নাশসহ নানা হুমকি ধামকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন তারা। মঙ্গলবার (২৯আগস্ট) সন্ধ্যায় শেরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন করেছে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর নতুনপাড়া গ্রামের মৃত মোজাম আকন্দের ছেলে ফরিদুর রহমান আকন্দ। তিনি বলেন, ‘আমি একজন অসহায় কর্মজীবি মানুষ। আমার কোনো জায়গা-জমি নাই। এমনকি মাথাগোঁজার বসতবাড়িও নেই। তাই অনেক কষ্টে একই ইউনিয়নের বনমরিচা এলাকায় জায়গা কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করি। এরই ধারাবাহিকতায় বনমরিচা গ্রামের সুমন, তারা বানু ও গোলাপি বেগমের মালিকানাধীন ছয় শতক জায়গা কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হই। এজন্য সতের লাখ টাকা পরিশোধ করে তাদের নিকট থেকে জমি রেজিস্ট্র করার লক্ষ্যে সম্পাদনও করা হয়েছে। পাশাপাশি জমিটি দখলে নিয়ে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ কাজ করা শুরু করি। বাড়িতে টাকা পয়সা খরচ একটু বেশি হওয়ায় জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য একটু সময় নেওয়া হয়।’ ফরিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমানে আমার টাকা পয়সা সংগ্রহ হয়ে গেছে। তাই বিক্রিতাদেরকে জমিটি রেজিস্ট্র করতে বলি। কিন্তু তারা নানা তালবাহানা শুরু করেন। এমনকি চিহিৃত একটি প্রতারক চক্রের সঙ্গে যোগসাজস করে বিক্রি করা জমিটি রেজিস্ট্রি করে দিতে অস্বীকৃতি জানান। সেই সঙ্গে ওই পরিমাণ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এছাড়া আমার কেনা ওই জায়গায় গড়ে তোলা বসতবাড়ি উচ্ছেদ করার জন্য পরিকল্পনা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাণনাশসহ নানা হুমকি-ধামকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুমন মিয়া কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। এমনকি এই বিষয়ে সাংবাদিকদের নিকট কোনো মন্তব্য করবেননা বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।’