মোঃ মশিউর রহমান সুমন।
মেহেন্দিগঞ্জ, (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
বরিশালের হিজলা উপজেলার গৌরবদী ইউনিয়নের বিশকাঠালী গ্রামে ধর্ষকের ভয়ে এক ধর্ষিতার পরিবার পালিয়ে বেড়ানোর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
বরিশালের হিজলা উপজেলার গৌরবদী ইউনিয়নের বিশকাঠালী গ্রামে ভিকটিম তার ভাইয়ের সাথে একই গ্রামে বসবাস করতো।একই গ্রামে বসবাস করতো ধর্ষক শফিক। দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন ধর্ষিতাকে। কিন্তু ধর্ষিতা রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে বিয়ের প্রস্তাব দেখিয়ে রাজি হলে দিনের পর দিন এভাবেই ধর্ষন করে আসছিল প্রতারক শফিক।
ঘটনার দিন (৫আগষ্ট) রাতে ভিকটিমের ভাই শফিককে তার নিজের গৃহে তার বোনকে ধর্ষন করা অবস্থায় তাকে আটক করে। এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে ধর্ষক শফিক ও তার মা, আত্মীয় স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে শফিককে নিয়ে জোরপূর্বক চলে যায়।এলাকায় বিচার শালিশ দিয়ে কোন বিচার না পেয়ে পরবর্তীতে ভিকটিম আদালতে মামলা দায়ের করেন।মামলাটি হিজলা থানা পুলিশ তদন্ত করছেন।
এ ব্যাপারে মামলার আইও মনিরুজ্জামান বলেন, তদন্ত চলমান আছে।মেডিকেল রির্পোট পেলে আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এদিকে ঘটনার পরপরই ধর্ষককে লুকিয়ে রেখেছেন তার মা ও আত্মীয় স্বজনরা। গত (২ সেপ্টেম্বর) পুলিশ ভিকটিমের ভাইসহ ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়ে এলাকার বাসিন্দা প্রত্যয়মান সাক্ষী ও তথ্য প্রমান মিলেছে বলে জানান পুলিশ। ঘটনাস্থলেই পুলিশের সামনে ধর্ষিতাসহ তার ভাইকে মারতে তেরে আসে ধর্ষকের আত্মীয় স্বজনরা। এবং পুলিশে চলে যাওয়ার পর মামলা তুলে নেওয়ায় জন্য চাপ প্রয়োগ করে ধর্ষকের পরিবার। মামলা তুলে না নিলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় ভিকটিমের পরিবারকে। ধর্ষকের ভয়ে তারা রাতের আধারে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানান ধর্ষিতার পরিবার।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গৃহীনি বলেন, ঘটনারদিন রাতে আমি শোরগোল শুনে গিয়ে দেখতে পাই শফিক নুরুল আলমের ঘরে তার বোনকে ধর্ষন করা অবস্থায় ঘরের দরজা বন্ধ করে আটকানো। তিনি আরো বলেন, ধর্ষক শফিকের ভয়ে তাদের উঠতি বয়সের মেয়েদের জন্য ভয়ে আতংকে দিশেহারা। তারা এই ধর্ষক শফিকের বিচার চায় বলে জানান।